ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জবি’র প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না

মোরশেদ সরকার. জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া ২০৭ জন শিক্ষকের অপেক্ষার সময় আরও দীর্ঘ হলো। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আইনি লড়াই শেষ হওয়ার কথা ছিলো রোববার আপিলের শুনানির মধ্য দিয়ে।



উচ্চ আদালতের নিয়মানুযায়ী শুনানির তালিকা না পাওয়ায় এদিন আর আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে শিগগিরই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কার্যালয়।

রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ। সে সময় বিলুপ্ত জগন্নাথ কলেজের ২২০ জন শিককে পাঁচ বছরের চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে (প্রেষণে) নিয়োগ দেওয়া হয়।

তবে শিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মীকরণ হতে ২০০৫ সাল থেকে এ পযর্ন্ত পৃথক পাঁচটি রিট আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫৬ (২) (ছ) এবং ৫৬ (৩) ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষকরা এ রিট আবেদনগুলো করেন।

এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিলুপ্ত কলেজের শিক ও কর্মকর্তাগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক কিংবা কর্মকর্তা হিসাবে আত্মীকরণ হবেন না। ’

এর মধ্যে ২০০৫ সালে তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্ত শিকদের অন্যত্র বদলি করতে চাইলে ১৮ জন শিক হাইকোর্টে পৃথক দু’টি রিট আবেদন করেন। এছাড়া ২০০৯ সালে আরও দু’টি রিট আবেদন করেন শিক্ষকরা। চলতি বছরে আরো ২৭ জন শিক অন্য একটি রিট আবেদন করেন।

রিটের শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ৫৬(৩)(ক) ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। আইন সচিব, শিা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

১১ আগস্ট ওই রুলের শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে আবদুল হাকিম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রেষণে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী নিয়োগ চেয়ে ২০৭ শিকের করা পাঁচটি আবেদন খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন।

শিক্ষকরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত ছয় সপ্তাহের জন্য রায় স্থগিত করে এবং ২৪ অক্টোবর রোববার এর শুনানি হওয়ার কথা ছিলো।

উল্লেখ্য, আপিলের এ রায়ের উপরই নির্ভর করছে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন, না অন্যত্র চলে যাবেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ২০ অক্টোবর ওই ২০৭ শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

তবে আপিলের রায়ে নিজেদের পক্ষে যাবে এবং তারা বিশ্ববাদ্যালয়ের অধীন স্থায়ী নিয়োগ পাবেন এমনিটই আশা করছেন শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছি। আশা করি আদালতের রায় আমাদের পক্ষে যাবে।

এদিকে রিট আবেদনকারী অনেক শিক্ষককে রোববারও কাস ও পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

দ্রুত তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত  না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।

আপিলের রায়ের বিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আদালত যার পক্ষেই রায় দেবে তা শান্তিপূর্ণ ভাবে মেনে নেওয়া উচিত। আমরা আদালেতের প্রতি শ্রদ্ধশীল।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।