ঢাকা: বিডিআর বিদ্রোহের সময় সদর দপ্তরের অধীন সকল পরিদপ্তর ও আরএসবি-র বিডিআর জওয়ানের ১২ জন সদস্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর্মার পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) চালনার নেতৃত্ব দেয়।
বিডিআর বিদ্রোহের বিচারে রোববার বিকেল ৩টায় এ সেক্টরের চার্জ গঠনের শুনানি শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মামলার প্রসিকিউটর মেজর মোকায়েত মোহাম্মদ আলী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদেরকে স্থানান্তর করার সময় সাধারণত গুলিরোধী এ এপিসি ব্যবহার করা হয়।
তা ছাড়া এ সেক্টরের সুবেদার মো. মোজাফ্ফর হোসেনের বাসা থেকে এক সেনা কর্মকর্তার রক্তমাখা ইউনিফর্ম পাওয়া যায়। ’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ আদালত ১০-এ অভিযোগ গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১৬০ আসামির বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়েছে।
বিদ্রোহী ৩৩৭ জওয়ানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ছিল-
৮৬ জন বিডিআর জওয়ান তৎকালীন ডিজির আদেশ অমান্য করেন, ২৬৮ জন জওয়ান কর্তৃপরে অনুমতি ছাড়া অস্ত্রভাণ্ডার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেন, ২৯ জন কোনো প্রকার ভয়ভীতি ও চাপ ছাড়াই বিডিআর বিদ্রোহের সময়ের তথ্য গোপন করেন, ৬৯ জন পরিচালকের সচিবালয়সহ বিভিন্নস্থানে দায়িত্ব পালনের সময় সেনা কর্মকর্তাদের সহায়তা করেননি, আর ৮ জন চালক গাড়ি নিয়ে দরবার হলে দরবার চলাকালীন সময়ে বাইরে ছিলেন। তারা সে সময় বিদ্রোহের কথা কর্তৃপক্ষকে না-জানিয়ে ও সেনা কর্মকর্তাদের সেখান থেকে না নিয়েই চলে যান।
এ ছাড়া ৫ জন অস্ত্র ধারণ করে পিকআপ ভ্যানে চড়ে হেডকোয়ার্টারের ভেতরে ত্রাস সৃষ্টি করে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন ও প্ররোচনা দেন, ৫ জন নির্মাণ স্টোরে সংরক্ষিত সার্চ লাইট পিলখানায় স্থাপন করে বিদ্রোহে সহযোগিতা করেন।
আরো অভিযোগের মধ্যে, ৫৩ জন বিদ্রোহের সময় কোনো প্রকার নির্যাতন, ভয়-ভীতির শিকার না হয়েও পিলখানার ভেতরে থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান নি ও বিদ্রোহ দমন করেননি, ৬ জন সক্রিয়ভাবে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদের বাসা থেকে গোলাবারুদ, ক্ষুদ্রাস্ত্র ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট জব্দ করা হয়।
ছবি ও ভিডিও দেখে ৬ জনের বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০