ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করব: রাষ্ট্রপতি

মুনিরুজ্জামান খান চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করব: রাষ্ট্রপতি

কিশোরগঞ্জ: রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমি যদি বেঁচে থাকি, তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে আমি জেলায় উন্নীত করব, ইনশাল্লাহ। ভৈরব হবে দেশের ৬৫তম জেলা।



রোববার ভৈরব হাজী আসমত কলেজ মাঠের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভৈরবের মাটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠাসহ শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ভৈরবের আলো-বাতাস গায়ে মেখে। ’

তিনি বলেন, ‘ভৈরববাসীর প্রাণের দাবি ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করা। আপনাদের দাবির ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। সরকার ভৈরবকে জেলা করার উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছে। এটা মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ’

বার বার ভৈরববাসী তাকে নির্বাচিত করায় ভৈরববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘আপনারা মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য করেছেন। আমি আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত। এ গৌরব আপনাদের। ’

 এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ভৈরবে একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণেরও আশ্বাস দেন।

তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ভৈরববাসীর বিভিন্ন দাবি দাওয়া বিষয়ক একটি মানপত্র রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভৈরববাসীর দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছি। ’

ভৈরব শহর রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ্ মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম, সাংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন লিটন, আবুল মনসুর প্রমুখ।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই ভৈরবের প্রাণের দাবি শহর রাবাঁধ বাস্তবায়নের জন্য আমার মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। ’

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধা ভাতাবঞ্চিত তাদের অচিরেই ভাতার আওতায় আনা হবে এবং তাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

সমাবেশ শেষে ভৈরব শহর রাবাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ এমপি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু সরণিতে ২৯ নং রেলওয়ে সেতু ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রশ্বস্তকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও জিল্লূর রহমান মহিলা কলেজের শহীদ আইভি রহমান ছাত্রী নিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।