ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে- রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০
ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে- রাষ্ট্রপতি

ভৈরব: রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ভৈরব উপজেলাকে দেশের ৬৫তম জেলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

বর্তমানে ভৈরবকে জেলায় রূপান্তরের  আনুষ্ঠানিকতা চলছে।

রোববার ভৈরবের হাজি আলী কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তৃতীয়বারের মতো নিজ নির্বাচনী এলাকা ভৈরব-কুলিয়ারচর সফরে গেলেন জিল্লুর রহমান।  

রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে ভৈরব উপজেলাকে জেলায় রূপান্তরিত করা। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভৈরবকে পূর্ণাঙ্গ জেলায় রূপান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন। ’

তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।     

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ ও রাষ্ট্রপতির ছেলে নাজমুল হাসান এবং কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন লিটন। এতে সভাপতিত্ব করেন ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ভৈরব আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল্লাহ মিয়া।     

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ভৈরব শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভৈরব শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ আমার দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন ছিল। ’

এসময় রাষ্ট্রপতি আরও জানান, ভৈরবে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, ভৈরব-কুলিয়ারচর গ্যাসলাইন স্থাপন, বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন এবং ভেঙ্গে পড়া চারটি সেতু পুনর্নিমাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।     

ভৈরবের মানুষের আরেকটি দাবি ছিল ৫০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি ভৈরবে একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যই ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও স্বপ্ন ছিল ‘সোনারবাংলা’ গড়ার। কিন্তু স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরও আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। ’

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই। কিন্তু দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ’

আমৃত্যু ভৈরবের জনগণের কল্যানণ কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমার কোনো ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নেই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। ’

পরে রাষ্ট্রপতি এমপি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি ‘জিল্লুর রহমান ভৈরব শহর রক্ষা বাঁধ’, রেলওয়ে সেতু সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং শহীদ আইভি রহমান মহিলা হোস্টেল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।