ঢাকা: রাজধানীর কোতয়ালী, পল্টন ও রমনা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা ৬৫ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর মধ্যে ৬০জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আলী হোসাইন ও এমএ মজিদ এদের জেল হাজতে পাঠান।
আটকদের মধ্যে কোতয়ালী থানার ৫৭ জন, পল্টন থানার ৬ জন ও রমনা থানার ২ জনকে আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। আদালত কবির হোসেন, আহমেদ ওজায়ের, নুরুজ্জামান, আব্দুল হান্নান ও রুহুল আমিনের দুই দিন করে রিমান্ড অনুমোদন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই শাহরিয়ার হাসান এদের ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
কোতয়ালী থানার মামলায় বলা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আদালতে নেওয়া হয় বুধবার। ওই দিন বিচারিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির লে সকাল থেকে লাঠিসোটাসহ আদালত এলাকায় জমায়েত হয় জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। আাদালত সংলগ্ন পুলিশ কাবের সামনে জনসন রোডে চলাচলরত যানবাহনের উপর চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ওই এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানার এসআই কামরুজ্জামান সিকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পল্টন থানার মামলায় বলা হয়, ২ আসামির নেতৃত্বে ৩৫০/৪০০ জনের একটি মিছিল পল্টন থেকে শুরু হয়ে কালভার্ট রোডের দিকে যাবার সময় রাস্তার যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পল্টন থানার এসআই নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুর রবকেও এই মামলার আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮০০, ১ জুলাই ২০১০