ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আইবিসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আইবিসির

ঢাকা: প্রতিটি কারখানায় অনতিবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন ও রেশনিং ব্যবস্থার জন্য বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া না হলে পবিত্র ঈদুল আযহার পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পোশাক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগঠন ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়মিত রেশন প্রদানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইবিসির সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ বাদল বলেন, ২০২৩ সালে মিরপুরে শ্রমিক অসন্তোষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমরা দীর্ঘদিন আশায় বুক বেধে ছিলাম এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তার কোনো ফল আমরা বাজেটে দেখতে পাচ্ছি না। উত্থাপিত বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়মিত রেশন প্রদানের জন্য কোনো ব্যবস্থা, প্রস্তাবনা, অর্থ বরাদ্দ আমাদের চোখে পড়েনি। তাই আমরা দারুণভাবে মর্মাহত।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরতদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করে। তবে অনেক কারখানা এখনো এটি বাস্তবায়ন হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমরা অনতিবিলম্বে সব কারখানায় ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন চাই।

এ সময় নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থাসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো- গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়মিত রেশন প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিতে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ; ঈদ-উল-আযহার আগে বেতন, বোনাস, বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনাদি পরিশোধ; যে সসব কারখানায় ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি সেখানে নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন; শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সংশোধনীসহ শ্রম আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন; প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক হাসপাতাল, বাসস্থান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা এবং মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার করা।

অনতিবিলম্বে এসব দাবি আদায় না হলে আসন্ন ঈদের পর শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আইবিসির সহসভাপতি জেড এম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুবউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ ভূইয়া, শাহাদাৎ হোসেন, হাসি আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।