ঢাকা, সোমবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট

ঢাকা: শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না। বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করার দাবি জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

শনিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আমাদের আন্দোলন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো দেশের তাঁবেদারি মেনে নেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসীন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় সরকারের ওপর বর্তায়।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে ১০ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এরমধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, যেভাবে চুরি-ডাকাতির মহোৎসব চলছে তাতে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। রিজার্ভ নেই, ডলার সংকট। এখান থেকে বাঁচতে হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। আজিজ-বেনজীরের শাস্তি হওয়া সময়ের দাবি। আমরা অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তার আগে বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিতে হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৪
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।