ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাইবান্ধায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে কলা ব্যবসায়ীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
গাইবান্ধায় জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে কলা ব্যবসায়ীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ 

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় লেবু মিয়াকে (৪৪) নামে কলা ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে র‌্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার জরিপপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আলিমুদ্দিনের ছেলে নুর আলম (৩৩) ও কৃষ্ণপুর এলাকার গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফজলে রাব্বী (২১)।  

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার মোহাম্মাদপুরের রায়ের বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জরিপপুর এলাকার লেবু শেখের সঙ্গে পাশের গ্রামের নুর আলম এবং ফজলে রাব্বীর জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ৩০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলা ব্যবসায়ী লেবু শেখ উপজেলার রাজা বিরাট বাজার থেকে কলা বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ফুলপুকুরিয়া এলাকায় আসামিদের ধারালো ছোরারি আঘাতে লেবু শেখের গলার শ্বাসনালি ও বুকের ওপর গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।  

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে নাইম ইসলাম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আগারগাঁও ঢাকা ও র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঢাকার মোহাম্মাদপুরের রায়ের বাজার এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি নুর আলম ও ফজলে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।