ফরিদপুর: ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে ঋণ বিতরণের দায়ে ফরিদপুরের মধুখালীর সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার্জশিটভুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা হলেন- সোনালী ব্যাংকের মধুখালী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসান, শাখাটির কর্মকর্তা মীর আব্দুর রউফ, এবিএম একরামুল হক, মো. হাফিজুর রহমান ও মো. সাহিদুর।
দুদক ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের মধুখালী শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসানসহ ব্যাংকটির পাঁচ কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে একই নামে একাধিক ঋণ বিতরণ করে; একই সঙ্গে ভুয়া পর্চা বা জাল পর্চা সৃজন ও দাখিলের মাধ্যমেও অকৃষক বা ভূমিহীনদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেন তারা।
দুদক জানায়, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের মাঝে ঋণ বিতরণ করে সর্বমোট ১০১১টি লোন কেসের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ টাকা বিতরণ করেন ওই পাঁচ কর্মকর্তা। বিতরণ পরবর্তী ৬ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে ওই ঋণ কেসগুলোর বিপরীতে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬০ টাকা আদায় করে এবং ৫ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৯ টাকা বকেয়া রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে পেনালকোডের ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
দুদক আরও জানায়, অতঃপর ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যার অভিযোগপত্র নম্বর-২।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
আরএ