বরিশাল: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করার ঘটনায় পাচারচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) মিডিয়া সেল।
গ্রেপ্তাররা হলেন পাচারচক্রের মূলহোতা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইমন হোসেন (২০) ও তার দুই সহযোগী শরীয়তপুরের পালং থানাধীন চরপাতালীধী গ্রামের আনিছ আলীর মেয়ে তানিয়া (২৬) ও মাদারীপুর সদর থানাধীন পুরান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে জাহানারা বেগম (২৭)।
র্যাব জানায়, গত ১১ মার্চ ভিকটিম ১৫ বছরের কিশোরীকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদরাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় ১২ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনায় তদন্তে নেমে থানা পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় পুলিশ র্যাব-৮ বরিশাল বরাবর একটি অভিযানপত্র পাঠায়।
পরে র্যাব-৮ সদর কোম্পানি এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ ইমন ও তার সহযোগী তানিয়া ও জাহানারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর মো. ইমন হোসেন জানায়, অপর সহযোগীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও প্ররোচনায় তিনি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ মার্চ বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা টিঅ্যান্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদরাসার সামনে থেকে জোরপূর্বক মানবপাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেন।
পরে তিনি ভিকটিমকে গ্রেপ্তার তানিয়া ও জাহানারা বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দেন। তবে রমজান মাসে পতিতাবৃত্তি বন্ধ থাকায় ভিকটিমকে নানাভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ ও প্ররোচনা দিয়ে আসছিলেন গ্রেপ্তাররা।
এ ঘটনায় বাকেগঞ্জ থানার তদন্তকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মানাব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার উদ্ধার করা ভিকটিম এবং গ্রেপ্তার আসামিদের বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
এমএস/এসআইএ