ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন: বার্ন ইউনিটে ৩ জনের মৃত্যু

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন: বার্ন ইউনিটে ৩ জনের মৃত্যু নিহত নুরুল ইসলাম

সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।

নিহতদের মধ্যে সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলামের ছেলে ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহাগ হোসেন (১৮) আজ ভোরে মারা যান। এছাড়া গেল রাতে (রোববার দিনগত রাত, ৩১ মার্চ) মো. নুরুল ইসলাম ও গতকাল তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়। এই পরিবারের একমাত্র মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) বেঁচে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে ফ্ল্যাটটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোরের দিকে সেহরির সময় রান্না করার জন্য আগুন জ্বালাতেই তা পুরো রান্নাঘরে ছড়িয়ে পরে। পরে পুরো ফ্ল্যাটে নিমিষেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন।

এরপরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, নুরুই ইসলাম শিমুলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন। তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অবসরে যান। পরে তিনি নিজ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। গত ২৬ মার্চ রাতে সেহরির সময় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত পরিবারটির তিনজনেরই মৃত্যু হয়।

ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, নিহত সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ, নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ ও ছেলে সোহাগের শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া বেঁচে থাকা পরিবারটির একমাত্র সদস্য নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থার উন্নতি হলেও আশঙ্কা কাটেনি বলে জানান চিকিৎসক।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে পাঠান। আজ জানতে পারি দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।