ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাংবাদিক-দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে শ্যালক-দুলাভাইয়ের প্রতারণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
সাংবাদিক-দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে শ্যালক-দুলাভাইয়ের প্রতারণা

ঢাকা: বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্রাইম রিপোর্টার ও দুদক কর্মকর্তা পরিচয় প্রতারণাকারী একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন চক্রের মূলহোতা ফিরোজ খান (৫২), তার শ্যালক মো. হাসান মুন্না (২৮) ও মুন্নার শ্যালক মো. রিয়াজ (১৮)।

তিন আসামির বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন মডেলের ১১টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটর ২৯টি সিম কার্ড ও দুদক কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার ঘটনায় দুদক বাদী হয়ে ডিএমপির রমনা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কয়েকটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়। এরই সূত্র ধরে মামলার তদন্তে নেমে রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশ আরও জানায়, শ্যালক ও দুলাভাই চক্রের সদস্যরা কখনও সাংবাদিক আবার কখনও দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। আর এই পরিচয়ের জন্য তারা বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড এবং দুদক কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি প্রথমে উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিউজ হলে তারা সে নিউজের ডিটেইলস জেনে নিত। পরে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সাংবাদিক পরিচয়ে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে নানাভাবে আলোচনা করে। এরপর দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনের কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। তাদের ব্যবহার করা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নাম্বারগুলো বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা।

তিনি বলেন, তারা এনটিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার, কখনও এসএটিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারসহ একাধিক টিভি ও পত্রিকার সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এই সব প্রতারণা করত। রমনা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় দুদকের উল্লেখিত ছয়টি সিম নম্বর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানে প্রতারকদের কাছ থেকে একাধিক সিম উদ্ধার করা হয়, যা তারা দুদক পরিচয়ে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হত। এই চক্রটির বিরুদ্ধে একই অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।