ঢাকা: শেরেবাংলা নগরের আগারওগাঁওয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ১০তলা ভবন। নির্বাচন কমিশন দুই দশমিক ৩৬ একর জায়গার ওপর নিজস্ব এ ভবন তৈরি করবে।
সূত্র জানায়, উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত একটি আধুনিক ভবন তৈরি করতে এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে। পরামর্শক দলের দুইজন সদস্য সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেছেন। নতুন ভবনে ভোটার আইডি কার্ডের ডাটাবেজসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে। এসব ডাটাবেজ রাখতে একটি আলাদা তলা থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের বর্তমান ভবনটিতে তাতে স্থান সংকুলান হয় না। সম্পূর্ণভাবে অস্থায়ী ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন কার্যালয় এখানে স্থাপন করা হয়েছিল। এ কারণে কমিশন কার্যালয় সরিয়ে দেলার এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বর্তমান জায়গাটি সরকার নির্বাচন কমিশনের নামে বরাদ্দ করলেও এখনো সরকারি কিছু স্থাপনা এখানে রয়েছে। এসব স্থাপনা অতি দ্রুত সরিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি শুরু করাই আমাদের লক্ষ। ’ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বর্তমান কার্যালয় সম্পর্কে বলেন, ‘এ রকম একটি জায়গাতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় হতেই পারে না। ’
সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুুল হুদা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খুবই তৎপর রয়েছেন। সরকার প্রথমে দুই দশমিক ৩৬ একর জায়গা বরাদ্দের পরে আবার ৩৬ শতাংশ জায়গা কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পুরো জায়গাকে পরিকল্পনায় রেখে কমিশন ভবনের নকশা তৈরি করে ফেলায় বিপদে পড়ে যায় কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি জানার পর তৎপর হয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পুরো জায়গাটি কমিশনের নামে বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন।
সরকারের কাছে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবটি পাস হলে আগামী বছরের প্রথমদিকে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কার্যালয়ের জন্য সরকারকে ভাড়া দিতে হয় না। তবে এ জায়গার কার্যালয়ে কাজ চালাতে কমিশনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একটি কক্ষে ৭ থেকে ৮টি ডেস্ক বসিয়ে গাদাগাদি করে কাজ করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
তাছাড়া কমিশনের শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। শূন্য পদগুলোতে নতুন লোকবল নিয়োগের পর স্বল্প পরিসরের বর্তমান কার্যালয়ে আর কোনোভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।
প্রধান কার্যালয়ই শুধু নয়, সারাদেশের ৬৪টি জেলা ও ৪শ ৯৩টি উপজেলাতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন তৈরি হচ্ছে। ৩শ ২৬ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এসব ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে নির্বাচন কমিশনের সারা দেশের কার্যালয়গুলোকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হবে না। ঢাকার বাইরে অধিকাংশ কার্যালয়গুলো জেলা প্রশাসন বা ভাড়া বাড়িতে অবস্থিত। নিজস্ব ভবনে যাওয়ার পর জেলা ও উপজেলা অফিসগুলোতে নিজস্ব সার্ভার স্টেশন স্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০