ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২৫ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৪
ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২৫  দুর্ঘটনাকবলিত ওয়েলকাম পরিবহনের বাসটি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাসচালকের একজন সহকারী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। পৃথক এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ও হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের পুলিয়া এলাকায় পৃথক এ বাস দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হেলপারের নাম ফেরদৌস হাওলাদার (২৮)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া এলাকার তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে। ফেরদৌস ওয়েলকাম পরিবহন নামে বাসচালকের সহকারী ছিলেন।

আহত যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।  

ওয়েলকাম পরিবহনের আহত যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে পিরোজপুরগামী ওয়েলকাম পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সি এস বি এল পেট্রল পাম্পের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে হেলপার ফেরদৌস ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী। আহতদের পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্য গুরুতর হওয়ায় গাড়ির সুপার ভাইজারকে ভাঙ্গা হাসপাতাল থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে শিবচর হাইওয়ে থানার পুলিশ গোল্ডেন লাইনকে সিগন্যাল দেয়। এ সময় পেছন থেকে আসা মাদারীপুরগামী সার্বিক পরিবহন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ধাক্কা দেয়। এতে সার্বিক পরিবহনের সামনের অংশ ও গোল্ডেন লাইনের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে উভয় পরিবহনের অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আনাম জানান, ওয়েলকাম পরিবহন বাসটির গ্লাস ভেঙে সব যাত্রী কম-বেশি আহত হয়েছেন। কিন্তু বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে হেলপার দীর্ঘক্ষণ আটকা থাকার কারণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।  

শিবচর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশিকুজ্জামান জানান, পুলিয়া যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গোল্ডেন লাইন ও সার্বিক পরিবহনের গতি প্রায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ছিল। আমাদের সিগন্যাল অমান্য করে পালানোর সময় সার্বিক পরিবহন গোল্ডেন লাইনকে পেছনে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে দুটি গাড়িরই ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেপরোয়া গতি ও চালকের অদক্ষতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।