ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা 

লক্ষ্মীপুর: জাটকা সংরক্ষণ করে ইলিশের টেকসই উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে আগামী দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  

শুক্রবার (০১ মার্চ) অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাত থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল মধ্য রাত পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না জেলেরা।

 

প্রতি বছরের এ সময়টাতে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা হয়। একই সঙ্গে ইলিশ মাছ কেনা-বেচা, পরিবহন এবং মজুদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের ভিজিএফ’র আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।  

আবার আইন অমান্যকারী জেলেদের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুর জেলার ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। মার্চ এবং এপ্রিল মাসে অভয়াশ্রমে জাটকা (ছোট আকারের) ইলিশের বিচরণ থাকে। দুই মাসে জাটকা বড় হয়ে ইলিশে পরিণত হবে।  

অভিযান সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং থানা পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নদী, মাছঘাট, আড়ত, হাট-বাজারসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য সংরক্ষণ আইন প্রয়োগ করা হয়। আবার জেলেদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করারও বিধান রয়েছে।  

নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রমে মাছ না ধরতে নদীর উপকূলীয় এলাকাসহ হাট-বাজারগুলোতে মাইকিং, লিফলেট ও পোস্টারসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।  

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯৫৫ জন। এদের মধ্যে ২৮ হাজার ৩৪৪ জন ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হবে। দুই মাসে প্রতি জেলে পরিবার ৪০ কেজি করে ৮০ কেজি চাল পাবেন। জেলায় মোট ২২৬৭ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে।  

জেলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বাংলানিউজকে বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনায় অভিযান চালানো হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে সব জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে নামবেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আইন অমান্যকারী জেলেদের মৎস্য আইনে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, আগামী দুই মাস মেঘনা নদীতে জাটকা, ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সদস্যরা নদী এবং হাটবাজার প্রতিনিয়ত অভিযান চালাবে। আর জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে দুবার ভিজিএফ’র আওতায় চাল দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।