ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বাজেটে বরাদ্দসহ উর্দুভাষীদের ৬ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
বাজেটে বরাদ্দসহ উর্দুভাষীদের ৬ দাবি

ঢাকা: আগামী বাজেটে ঢাকাসহ দেশের ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত ঊর্দুভাষীদের জীবন মানের উন্নয়ন, কল্যাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সহযোগিতায় ছিল মোহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (এম.আর.ডি.এম) জোন ‘এ’ এবং জোন ‘বি’  জেনেভা ক্যাম্প, মোহাম্মদপুর।

বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক অসি আহমেদ অসি বলেন, বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশে ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের নাগরিক। উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর তরুণ প্রজন্ম এদেশের আলো বাতাসের সাথে মিশে বড় হয়েছে। নিজেদের এ দেশের নাগরিক হিসেবে মনে করে।

তিনি বলেন, উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ও আবাসন ব্যবস্থার সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী পুনর্বাসনের ব্যবস্থার কথা বলেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেনি।  

অসি আহমেদ অসি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন থাকবে, ২০২৪-২৫ বাজেটে উর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়নে ও আবাসন ব্যবস্থার সংকট সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সহযোগিতা ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেবেন।

উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর ৬ দফা দাবি:
১) ২০২৪-২৫ সালের জাতীয় বাজেটে ঊর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়ন, কল্যাণ ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাসরত যে যেখানে আছে, সেখানে নিরাপত্তাসহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অর্ন্তভুক্ত করা।

২) ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সরকার যেসব মোহাজিরদের বাসস্থান ক্যাম্পকে প্লট করে বরাদ্দ দিয়েছেন, সেই সকল প্লট বরাদ্দের আদেশ বাতিল করে নতুন করে মোহাজিরদের বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানাই।

৩) পুনর্বাসনের ধরন হবে প্রতিটি পরিবারকে কমপক্ষে ৩ শতক জমি এবং ২ কক্ষ বিশিষ্ট টিন শেডের বাড়ি নির্মাণ করে প্রতি পরিবারের নামে বরাদ্দ দিতে হবে।

৪) যে স্থানে উর্দুভাষী ক্যাম্পবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে, যেসব স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, খেলার মাঠ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো মানবিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৫) পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পসমূহের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা এবং অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আদেশ-নির্দেশ দেওয়া হোক।

৬) আদমজী নগর ক্যাম্প, চট্টগ্রামের ঝাউতলা ক্যাম্প, মিরপুর সেকশন ১০, ১১ ও ১২, সৈয়দপুরের দুর্গাবিল ক্যাম্পসহ ঝুঁকিতে থাকা সব ক্যাম্পবাসীকে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত রক্ষা করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আদেশ-নির্দেশ প্রদান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।