ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টেলিফোন, মোবাইল ফোনে সন্ত্রাস রোধে প্রতি থানায় কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা

উবায়দুল্লাহ বাদল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০
টেলিফোন, মোবাইল ফোনে সন্ত্রাস রোধে প্রতি থানায় কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা

ঢাকা: টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে সন্ত্রাস, হুমকি এবং চাঁদাবাজি রোধে প্রতি থানায় একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট এলাকার ফোনে হুমকি দাতাদের চিহ্নিত করাই হবে তার দায়িত্ব।

ওই কর্মকতার মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর সম্বলিত লিফলেট প্রচার করা হবে যাতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রতিকার পেতে পারেন।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রাজনৈতিক) মো. ছিদ্দিক উল্যাহ ভূঞা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে  হুমকিদাতা এবং চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করতে দেশের প্রতিটি থানায়/ইউনিটে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা ভাবা হচ্ছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

যত্রতত্র মোবাইল ফোনের সিম বিক্রির বিষয়ে উপ-সচিব বলেন, আগের তুলনায় তা কমে এসেছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের সকল খুচরা বিক্রেতার নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে এসেছে। তালিকা যাচাই করা হচ্ছে।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, একজনের ফোন অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে সে বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। করলেও যেন ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করা যায়। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে গত ১০ মে কমিটির বৈঠকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরকে সিম বিক্রেতা পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে অনলাইন সিম বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সিম ক্রয়কারীর দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।  

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু সিম বিক্রির ক্ষেত্রে পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতা নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করার কথাও বলেছিলেন।

বাংলাদেশের সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad