ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিবাদপূর্ণ করার চেষ্টা হয়েছিল: নৌ প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিবাদপূর্ণ করার চেষ্টা হয়েছিল: নৌ প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহী: বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুধু নষ্টই নয়, বিবাদপূর্ণ করার অপচেষ্টা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি বরং দুই বন্ধু দেশের সাথে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ-রাজশাহী নৌবন্দর চালু তার অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলের আওতাভুক্ত সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কলের উদ্বোধন উপলক্ষে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এবং বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিমন্ত্রী এই নৌবন্দরের উদ্বোধন করেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই বাংলাদেশ যেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়ার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সেই ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে কারো সাথে বৈরিতা নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্বের জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিচক্ষণ কূটনৈতিক তৎপরতায় আজকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে পর্যটন পরিবহনেও অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার ২৩টিই বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে, অপরটি মিয়ানমারের সঙ্গে। ইতোমধ্যে ১৭টি স্থলবন্দর চালু হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে বাংলার ১৭ কোটি মানুষকে ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছেন। যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে ছাত্ররা ক্লাসে যেতো, শিক্ষকরা সন্ত্রাসীদের অনুমতি নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করতেন, সেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ বদলে গেছে।

সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় ৫৯ বছরের অপেক্ষা শেষে সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এর পর সাড়ে ১১ টন গার্মেন্টস জুট নিয়ে একটি নৌযান সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্মসচিব সেলিম ফকির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-মায়া গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার বাংলাদেশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সীমান্তের সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদীবন্দরের মর্যাদা পেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।