ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝিনাইদহের বরুন হত্যার পরিকল্পনাকারী যাত্রাবাড়ীতে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
ঝিনাইদহের বরুন হত্যার পরিকল্পনাকারী যাত্রাবাড়ীতে গ্রেপ্তার

ঢাকা: ঝিনাইদহ জেলার সদর এলাকায় নৃশংসভাবে হাতের কব্জি ও পা বিচ্ছিন্ন করে চাঞ্চল্যকর বরুন ঘোষ হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক প্রধান আসামি তন্ময় হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক ও অ্যাপস অফিসার আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১০ এর একটি দল। অভিযানে ঝিনাইদহ জেলার সদর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঞ্চল্যকর বরুন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামি তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, আসামি তন্ময় ওই হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

র‍্যাব জানায়, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ ঘোষপাড়া এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিম বরুন কুমার ঘোষের সঙ্গে আসামি তন্ময় হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে অভিযুক্তরা ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজনকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভিকটিম বরুন কুমার ঘোষ ইজিবাইকে করে ভিসার কাজে বাইরে যান। পথে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ এলাকায় পৌঁছালে মামলার নয়জন অভিযুক্তসহ অজ্ঞাত আরও ৯-১০ জন সেখানে ওত পেতে ছিলেন।

পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা দলবদ্ধ হয়ে ভিকটিম বরুন কুমার ঘোষকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে রামদা, চাপাতি, ডাঁসা, লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে ও আঘাত করতে থাকেন। অভিযুক্তরা ভিকটিমের মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারেন এবং ভিকটিমের আঙুল, ডান হাতের কব্জি ও বাম পা হাঁটু থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ঘটনার একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা বরুনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ১০ জানুয়ারি নিহত বরুনের স্ত্রী টুম্পা রানী ঘোষ বাদী হয়ে ৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৯-১০ জনকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
এমএমআই/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।