ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় আলুর মড়ক রোগ, দুশ্চিন্তায় চাষি

তৌহিদ ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় আলুর মড়ক রোগ, দুশ্চিন্তায় চাষি

নওগাঁ: ২০২৩ সালের বছর জুড়েই আলু দাম নিয়ে আলোচনার ঝড় ছিল সাধারণের মধ্যে। এখনো ঠিকঠাক কাটেনি আলুর দাম বৃদ্ধির প্রভাব।

এরমধ্যেই নতুন দুশ্চিন্তায় পড়েছে আলু চাষীরা। অতিরিক্ত শীত আর ঘন কুয়াশায় আলুর পচন রোগ/ মড়ক রোগে মরে যাচ্ছে গাছ। ফলে ফলন নিয়ে শঙ্কায় নওগাঁর কৃষকেরা।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুন জোয়ার গ্রামের আলু চাষি মিজানুর রহমান। তিনি জানান, অতিরিক্ত লাভের আশায় চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত শীত আর কুয়াশার কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আলুর গাছ। এরই মধ্যে কয়েক দফায় ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না রোগের বিস্তার।

মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে আরও জানান, প্রতিবছরই বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেন তিনি। এবারও ঋণ নিয়ে করেছেন আলু আবাদ। কিন্তু মৌসুমের এই সময়ে এসে আলুর গাছ নিয়ে চিন্তিত তিনি। শীত কুয়াশায় কুঁচকে যাচ্ছি আলুর পাতা। এরপর মরে যাচ্ছে গাছ। নানা কোম্পানির নামিদামি ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

শুধু মিজানুর রহমান নয়, জেলার বেশিরভাগ কৃষকেরই অবস্থা এখন এক। কৃষকরা বলছেন, চারা গজানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ বার গাছগুলোতে ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আলুর ফলন কমে যাবে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান আলু চাষীরা।  

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে আলুর আবাদ এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে। এবছর আবহাওয়া খুবই ভালো, ক্ষতিকারক কুয়াশা নেই বললেই চলে। ফলে আশা করা যাচ্ছে এই মৌসুমি আলুর ফলন ভালো হবে। তবে সব রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা মাঠে কাজ করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুম নওগাঁয় প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দুই হাজার হেক্টর বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।