ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দায়িত্ব নিতে এসে ফিরে যেতে হলো সিরাজগঞ্জ এলজিইডি প্রকৌশলীকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
দায়িত্ব নিতে এসে ফিরে যেতে হলো
সিরাজগঞ্জ এলজিইডি প্রকৌশলীকে শফিকুল ও মনিরুল

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব নিতে এসে ফিরে যেতে হলো পাবনার প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামকে। প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বদলির আদেশ রহিত হওয়ায় তিনি ফিরে গেছেন।

 

রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে অ্যাসিউম পদ্ধতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর পিয়ন মারফত বদলির আদেশ রহিতের (বাতিল) চিঠি দেখে ফিরে যান মনিরুল ইসলাম।  

এর আগে বিদায়ী বছরের ১৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে পাবনায় এবং পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। কিন্তু বদলির দুই মাসেও মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি শফিকুল ইসলাম। স্বপদে বহাল থাকতে এ দুই মাসে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন তিনি।  

নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস আগে শফিকুল ইসলামকে পাবনায় এবং আমাকে সিরাজগঞ্জে বদলি করে অধিদপ্তর। আমি বদলি করা স্থানে দুই মাসে বেশ কয়েকবার যোগ দিতে এলেও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি শফিকুল। আজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকায় বাধ্য হয়ে অ্যাসিউম করে যোগদান করেছি এবং যোগদানের কাগজপত্র প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি অফিসে বসে থাকা অবস্থায় শফিকুল পিয়ন মারফত হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে একটি আদেশের কপি দেখান। যেখানে দেখা যায়, গত ১৫ নভেম্বরের বদলির আদেশটি ২১ নভেম্বর রহিত করা হয়েছে। কিন্তু আদেশটি ছয়দিন পর বাতিল করার কপিটি আমি হাতে পাইনি। একতরফা শফিকুলের কাছে ওই আদেশটি সরবরাহের ঘটনাও বেশ রহস্যজনক মনে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমি অফিস ত্যাগ করেছি।  

নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমি ছুটিতে আছি। অথচ আমাকে না জানিয়ে তিনি যোগদান করতে এসেছেন। ২১ নভেম্বর আগের আদেশ রহিত হওয়ার পর থেকে সিরাজগঞ্জের দায়িত্বে আমিই রয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমিই থাকব।  

রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবিএম জুলফিকার আলী বলেন, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও দুদকে তদন্ত চালু থাকায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর শফিকুলের শাস্তিমূলক বদলি হলেও পরে প্রধান প্রকৌশলী তা স্থগিত করেন। পরে সেটি আবার বাতিল করার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। সেটি বাতিল হতে পারে।  

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ-বারুহাস-কুন্দল সড়ক ও ভদ্রাবাতি (উত্তর-দক্ষিণ) খাল খননসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নয় ছয় এবং প্রত্যয়নপত্র ছাড়া ঠিকাদারদের চূড়ান্ত বিল দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রকৌশলী শফিকুলের বিরুদ্ধে। তিনটি অভিযোগে নিজ দপ্তর ও দুদক পৃথকভাবে তদন্ত করছে। এ অবস্থায় শফিকুলকে পাবনায় বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান করেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।