ঢাকা: বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় শনিবার মহানবমীর দিনে শেষবারের মতো দেবী দর্শনে বেরিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মহানবমীর দিনটিই মা আনন্দময়ীর ধূলির এ ধরায় শেষ দিনের মতো অবস্থান।
রোববার সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের মধ্যে পূজা সমাপন, দর্পন বিসর্জন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী স্থিরাত্মানন্দ শনিবার বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভক্তদের মধ্যে দুর্গতিনাশিনী মা’র আজই শেষরাত অবস্থান। ’
তিনি বলেন, ‘স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে অধিষ্ঠিত দেবীর কাছে সব অনাচার আর সঙ্কট মোচনের প্রার্থনা ও আরাধনার শেষ হবে শনিবার রাতেই। ’
মহারাজ স্বামী স্থিরাত্মানন্দের কথার প্রমাণ পাওয়া গেল রাজধানীর কয়েকটি পূজামণ্ডপে।
দুর্গতিনাশিনী দশভূজা দেবীর আশীর্বাদে ধন্য হতে এবং বিপদমুক্ত জীবনের আশায় শনিবার দিনভর মণ্ডপে মণ্ডপে আরাধনা ও দেবী দর্শন করেন ভক্তরা। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো। দেবীকে প্রণাম করে অঞ্জলি দিতে ভক্তদের লম্বা লাইন সন্ধ্যার পর আরও বড় হতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যার পর প্রতিটি মণ্ডপেই আরতির আয়োজন করা হয়েছে। এটি দেখতেও আগ্রহের কমতি নেই ভক্তদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও ঢাকেশ্বরী মন্দির ছাড়াও পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার ও শাঁখারিবাজার এলাকায় শনিবার চিরচেনা রূপ থেকে বেরিয়ে এসে হয়ে উঠেছিল উৎসব মুখর।
সব বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা এদিন নতুন জামা-কাপড় পড়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। শাহবাগের শিশু পার্কেও ছিল শিশুদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া পূজামণ্ডপগুলোর আশপাশে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিদের পণ্য কিনতেও সবার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা আয়োজক কমিটি জানায়, এ বছর ঢাকা শহরে ১৮৯টি মণ্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়। আর সারা দেশে এই সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।
গত বুধবার বোধনের মধ্যদিয়ে মহামায়ার সার্বজনীন এ পূজা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১০