ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ে এমপি সমর্থকদের বৈঠক পণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ে এমপি সমর্থকদের বৈঠক পণ্ড

কুমিল্লা: প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন কুমিল্লা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপির সমর্থকরা।  আচমকা সেখানে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।

এ সময় হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) কুমিল্লা নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপির সমর্থকরা এ বৈঠকের আয়োজন করেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে ওই হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ শিক্ষকদের (প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে তালিকাভুক্ত) নিয়ে হোটেলটির চারতলায় দেবিদ্বার উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি কর্তৃক বর্ষ সমাপনী মিলন মেলার ব্যানারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যে অনুষ্ঠানে শুধু এমপির আশীর্বাদপুষ্ট কলেজ শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। যারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আবেদন করেছেন।  

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে বাইরে ছুটে আসেন দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবায়দা খাতুন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ বাবু। তিনি প্রথমে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আবার জানান, তিনি দেবিদ্বার উপজেলার কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতা। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি নিজের রাজনৈতিক দলের পরিচয়ও দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান আর শুরু হয়নি। পরে একজন দুজন করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সবাই।

কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখানকার অনেকেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভুক্ত। এখানে শুধু এমপির কাছের শিক্ষকদেরই দাওয়াত করা হয়েছে। এমপি মহোদয়ের আসার কথা ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আয়োজকরা দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন তিনি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারছেন না।

অনুষ্ঠানের আয়োজক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সমর্থিত নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা সৈনিকলীগের আহ্বায়ক ও দেবিদ্বার আলহাজ্ব জোবায়দা খাতুন মহিলা কলেজের প্রভাষক নূর মোহাম্মদ বাবু বলেন, আমরা কলেজ শিক্ষকদের অনুষ্ঠান করছি। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। রাজনৈতিক বিষয় না হলে উপজেলার সব কলেজের শিক্ষকদের কেন আনা হলো না এমন প্রশ্নের তিনি উত্তর না দিয়ে তাড়া আছে বলে চলে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অতীশ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর আয়োজকরা জানিয়েছেন এটি শিক্ষক সমিতির প্রোগ্রাম। আমরা শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছি। যদি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।