ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী এসকেনদার খাঁকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় এসকেনদারকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানারো হয়।

নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে কালকিনির লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের পক্ষে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে অংশ নেন তাহমিনার সমর্থক এসকেনদার খাঁ। এ সময় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় ফজলুল হকসহ ৫৭ জনের নামে কালকিনি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।  

এরই জেরে শনিবার সকালে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হলে ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয় এসকেনদারকে। এ সময় পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। এসময় বাধা দিলে এসকেনদারের চাচাতো ভাই আবু বক্কর খাঁকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।  

পরে দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে এসকেনদারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হলে শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বৃদ্ধ এই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। অপরদিকে তাহমিনা বেগম কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নিহত এসকেনদার খাঁর পরিবারে তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।

উজ্জ্বল সরদার বলেন, এসকেনদার সস্পর্কে আমার মামা হন। আবদুস সোবহান গোলাপের লোক মামাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

শাহীন বেপারী বলেন, নৌকার সমর্থক ফজলুল হক বেপারী কয়েক দফা হুমকি দিয়েছে, যারা ঈগল মার্কা তাহমিনার নির্বাচন করবে, তাদের কাউকেই বাজারে উঠতে দেবে না। ঈগল পাখি মার্কার গণজোয়ার দেখে নৌকার পক্ষের লোকজন বার বারই হামলা চালাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছি। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পরিবার থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা রেকর্ড করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।