ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২, ১১ মে ২০২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

আইসিসিবিতে চলছে নির্মাণ-বিদ্যুৎ শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৩, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
আইসিসিবিতে চলছে নির্মাণ-বিদ্যুৎ শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী 

ঢাকা: বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার আইসিসিবিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ সামগ্রী, নির্মাণ প্রণালি ও সরঞ্জাম কেন্দ্রিক ৬ টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।  

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি)'র হল ১,২,৩ এবং ৪ হলে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী গুলো চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এই  প্রদর্শনী গুলো হল ‘২৮ তম বিল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’ ‘২২ তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো-২০২৩’ ‘৫ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৩’ ‘২৫তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৩’, ‘২০তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৩’ এবং ‘৫ম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৩’।

আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস- সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ।  

প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের। তবে শিল্প মন্ত্রী উপস্থিন না থাকলেও আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে তার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়।  

শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীগুলো, উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও অগ্রগতির এক দারুণ সংযোগস্থল হয়েছে। এতে আমরা নেটওয়ার্কিং, জ্ঞান বিনিময় এবং নতুন অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য একটি অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি। যা প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট পেশাদার, ব্যবসায়ী এবং উদ্ভাবকদের নিজ সেক্টরে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। তিনি বলেন, বহুমাত্রিক প্রদর্শনীগুলো একটি ফলপ্রসূ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

এসময় রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ২০২৯ সালের পর থেকে দেশে কোন পোড়া ইট দিয়ে বিল্ডিং তৈরি করা হবে না। পরিবেশ নিয়ে দুবাইতে জলবায় সম্মেলন হচ্ছে। সেখানে যে সকল দেশ বেশি কার্বণ নিঃসরণ করে, তারা কম কার্বণ নিঃসরণ দেশগুলোকে সহায়তা দিবে। একই সঙ্গে রাজক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের পর থেকে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে পোড়ানো ইট ব্যবহার করবে না। বর্তমানে সরকারের যত টেন্ডার হয় সেখানে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার করা হয়। এসডিজি বাস্তবায়নে যে ১৭ টা গোল আছে তার মধ্যে ১১ নম্বর গোল হচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য। যেখানে একটি রেজিলেন্স শহর গঠন করার কথা বলা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান; পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন; ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (আরপিই অ্যান্ড ডি) ড. মো. মিজানুর রহমান এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) এর সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।