ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তথ্য গোপন করে বিক্রি করা জমির দলিল বন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণের নামে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জনগণের ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্।

ঋণের নামে আত্মসাৎ ও জাল-জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছে সংস্থাটি।  

তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের তুলনা বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ একটি সফল অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে নব-আবির্ভুত একটি দেশ। কিন্তু এই অর্থনৈতিক সফলতা ধ্বংস করে দিচ্ছে কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী নামের প্রতারক চক্র।

এই চক্রটি বিগত ১৬ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ কারণে বাংলাদেশ ডলার সংকটে পতিত হয়েছে। এই প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ব্যাংকিং খাত মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এই প্রতারক চক্র ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের জন্য মারাত্মক জাল-জালিয়াতি করছে।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এমনই একজন প্রতারক। গত জুন মাসে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রীত জমির দলিল বন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা শাখা থেকে ঋণ গ্রহণের নামে রফিকুল ইসলাম জনগণের ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বিগত দিনের হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পিকে হালদার কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাগুলোর অবিকল রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া রংধনু গ্রুপের কর্ণধার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ থাকলেও তার অবৈধভাবে ঋণগ্রহণের বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রফিক ২০২২ সালের শেষ দিকে এসব জমি বিক্রি করে দিলেও ঋণ নেন চলতি বছরের জুন মাসে। ঋণের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা কিছুই জানে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। একটি সংঘবদ্ধ চক্র অব্যাহতভাবে জনগণের রক্ষিত ব্যাংকের টাকা লুণ্ঠন করে যাচ্ছে। দেশবিরোধী এই অপকর্ম অনতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি। অন্যথায় ১৮ কোটি মানুষের সম্ভাবনার বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সূত্রের বরাতে তিনি জানান, চলতি বছরের ২২ জুন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তার ছেলে মেহেদী হাসান দীপু, কাউসার আহমেদ অপু ও দীপুর স্ত্রী মালিহা হোসেন জোয়ার সাহারা, ভাটারা ও গুলশান মৌজার ৩৩৭ দশমিক ৫৯ ডেসিমেল জমি বন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভাটারা মৌজার চারটি প্লটে রফিকুল ইসলামের বিক্রি করে দেওয়া ৯৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ জমিও রয়েছে।

ব্যাংকে দেওয়া নথি থেকে জানা গেছে, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালেরর ২০ ফেব্রুয়ারি ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্টের কাছ থেকে এওয়াজবদল দলিল মূলে মালিক হয়েছিলেন। এর মধ্যে ভাটারা মৌজার ই ব্লকের ৪৮২, ৪৮৩, ৪৮৪, ৪৮৭, ৪৮৮ ও ৪৮৯ প্লটের ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, ৫০৭, ৫০৮, ৫১১ ও ৫১২ প্লটের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ৫৩০, ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৫ প্লটের ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ, ৫৫১, ৫৫২, ৫৫৬, ৫৫৭ ও ৫৫৮ প্লটের ২৭ দশমিক ৫১ শতাংশ জমি রয়েছে।  

উল্লেখিত জমি ওই বছরের ১৮ এপ্রিল স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক বন্ধক রেখে ঋণ নিলেও রফিকুল ইসলাম তা পরিশোধ করে দেয় ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। একই দিন এসব জমির মধ্যে ৪৮২, ৪৮৩, ৪৮৪, ৪৮৭, ৪৮৮ ও ৪৮৯ প্লটের ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ৫৩০, ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৫ প্লটের ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ আবুল কাশেম গংদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর ৫৫১, ৫৫২, ৫৫৬, ৫৫৭ ও ৫৫৮ প্লটের ২৭ দশমিক ৫১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন ইমরান করিমের কাছে। এছাড়াও গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তামান্না সুলতানার কাছে ৫০৭, ৫০৮, ৫১১ ও ৫১২ প্লটের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছেন রফিক।

রফিক বিক্রি করে দেওয়ার পর ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইমরান করিমের জমির মালিকানা পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর। আবুল কাশেম গংদের মালিকানাধীন ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও তামান্না ইসলামের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। এছাড়া আবুল কাশেম গংদের মালিকানাধীন ২২ দশমিক ৭০ শতাংশের আরেকটি প্লটের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে এ বছরের ১৯ মার্চ।

সুফি সাগর সামস্ বলেন, ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ জুন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তার ছেলে মেহেদী হাসান দীপু, কাউসার আহমেদ অপু ও দীপুর স্ত্রী মালিহা হোসেন জোয়ার সাহারা, ভাটারা ও গুলশান মৌজার ৩৩৭ দশমিক ৫৯ ডেসিমাইল জমি বন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভাটারা মৌজার চারটি প্লটে রফিকুল ইসলামের বিক্রি করা ৯৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ জমিও রয়েছে।

এসব জমি তিনি এর আগে স্যোশাল ইসলামি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধের পরপরই জমিগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেন। কিন্তু বিক্রির তথ্য গোপন রেখেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে আবারও ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণের বিপুল পরিমান অর্থ কোথায়, কোনখাতে বিনিয়োগ করেছেন, সে বিষয়ে ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিন দফায় এসব অর্থ ছাড় করা হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে সেটা নিশ্চিত না হয়েই তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড় করেছে ব্যাংক।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক অবৈধভাবে ঋণ দেওয়া জমিতে বর্তমানে অন্য কোম্পানির মালিকের সাইনবোর্ড ঝুলছে। ব্যাংকে রফিকুল ইসলামের বন্ধক দেওয়া চারটি প্লটের মালিকানার বিষয়ে গুলশান রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে এসব জমি রফিকুল ইসলামের মালিকানায় নেই।

এরমধ্যে তামান্না ইসলামের জমিতে ১৪তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ শুরু করেছে সুবাস্ত প্রপার্টিজ। ৪৮২, ৪৮৩, ৪৮৪, ৪৮৭, ৪৮৮ ও ৪৮৯ প্লটের ২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ৫৩০, ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৫ প্লটের ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ আবুল কাশেমের মালিকানাধীন ড্রিমওয়ে হোল্ডিংস লিমিটেডও বহুতল ভবন নির্মাণের সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে। ৫৫১, ৫৫২, ৫৫৬, ৫৫৭ ও ৫৫৮ প্লটের ২৭ দশমিক ৫১ শতাংশ জমি ইমরান করিম সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।

প্রতারণা ঠেকাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়া অথবা তৃতীয় পক্ষের কাছে বেচাকেনার আগে ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে চিঠিও পাঠিয়েছে ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ বলেন, এই বিপুল পরিমাণ ঋণের বিনিয়োগ কোথায় হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। রংধনু গ্রুপের দখলে রয়েছে অসংখ্য জমি। মানুষের জমি দখল, ব্যাংকের টাকা লুটপাট, প্রতারণা, জালিয়াতি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এক সময়ে বাড্ডার সামান্য ডিম বিক্রেতা রফিক।

রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া রফিকের অবৈধ সম্পদের অনেকাংশই বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যথার্থভাবে তার সম্পদের হিসেব করলেই বের হয়ে আসবে প্রকৃত সত্য।

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের আলোচিত-সমালোচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রাতারাতি টাকার কুমির হয়ে গেলেও স্থানীয়দের কাছে তিনি আন্ডা রফিক হিসেবেই বেশি পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, মিডিয়ায় বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করেন রফিক।

২০১৮ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মিস আয়ারল্যান্ডখ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়তিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন রফিকুল ইসলাম রফিক। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ভিডিও বার্তায় সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন প্রিয়তি। ভিডিও বার্তায় প্রিয়তি জানান, রংধনু চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তাকে সেক্সচ্যুয়ালি হ্যারেজ করেছিলেন। রফিকের প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে প্রিয়তির হয়রানির বিষয়ে রফিকের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আন্ডা রফিক বাহিনীর ত্রাসের রাজত্বে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা। জমি দখল করতে দিনে-দুপুরে প্রায়ই হামলা চালানো হয় স্থানীয় নিরিহ মানুষের বাড়িঘরে। বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় মালামাল। রাতের বেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবতী মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দেওয়া হয়। অনেকে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের সত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে একাধিক হত্যা মামলাও।

তিনি বলেন, এই অনিয়ম, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি এক হাতে হয় না। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব অপকর্ম করছে। এসব অপকর্ম বন্ধ করতে হলে সরকারকে কঠোর হতে হবে। দুদককে আরো কঠোর হতে হবে।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি, ভূমিদস্যুতা, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, বিক্রীত জমির দলিল বন্ধক রেখে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে জনগণের ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের সদস্য আমির সোহেল মল্লিক ও মতিউর রহমান তালুকদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩ 
পিএম/নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।