বরিশাল: জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আর এ কারণে এরইমধ্যে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ফাতেমা বেগম (২৫) আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের মুজিবুর হাওলাদারের মেয়ে এবং একই উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের জাফর পাইকের স্ত্রী।
স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ঘরে বসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ফাতেমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে পয়সাহাট উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করলে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অংকুর কর্মকারও ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফাতেমার শ্বশুর পরিবারের দাবি নিজের ঘরেই তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে ফাতেমার পরিবারের এ নিয়ে আপত্তি দেখা দেয়, যা নিয়ে আপোষ মীমাংসার চেষ্টাও হয়। তবে ফাতেমার মৃত্যুর তথ্য নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় বলে জানিয়েছেন মৃতের বাবা মজিবুর রহমান হাওলাদার।
খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মিল্টন মণ্ডল হাসপাতাল থেকে ফাতেমার মরদেহ থানায় নিয়ে যান।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, ফাতেমার মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় তার মরদেহ সোমবার (২০ নভেম্বর) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
এমএস/এসআইএ