ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ১২ ইউপি সদস্যের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ১২ ইউপি সদস্যের  অভিযুক্ত রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন। ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল: জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে দিয়েছেন ১২ জন সদস্য।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপির সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিলকিস বেগম।

অভিযোগের অনুলিপি বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মো. আক্তার উজ জামান মিলন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগম বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অভিযোগ ১২ জন সদস্য সকলে স্বাক্ষর দিয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে অভিযোগ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈর কাছে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মো. আক্তার উজ জামান মিলন বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয় নিয়ে ইউপির সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দুই সদস্য বিশেষ বরাদ্দ আনার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছে।

অভিযোগের বরাতে ইউপি সদস্য বিলকিস বেগম বলেন, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সকল সরকারি বরাদ্দ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমতো বণ্টন করেছেন। ইউনিয়নে মাসিক কোনো সভা না ডেকে সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান ও সচিব সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় তারা সমস্ত সরকারি বরাদ্দ ভাগ বাটোয়ারা করেন।  

চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও চেয়ারম্যান জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা, বাইরের আবেদন গ্রহণ না করা, ডানিডা, ননওয়েল, ওয়ান পার্সেন্ট, এডিবি, ট্যাক্স আদায়, টিআর, কাবিখা, কাবিটা কর্মসূচি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, রেশন কার্ড, টিসিবি, ভিজিডি কার্ড নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে নিজের পছন্দমতো লোকদের দেওয়া, পরিষদে চাল না দিয়ে সরকারি গোডাউনে চাল দেওয়া, ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা না দেওয়া, মৎস্য চাল, উন্নয়ন তহবিল, গভীর নলকূপ,মাসিক মিটিং না করা, প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করা, চেয়ারম্যান তার নিজের আত্মীয়দেরকে উদ্যোক্তা বানিয়ে তাদের দিয়ে ইউপি সদস্য ও সাধারণ জনগণকে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এছাড়াও সকল সদস্যগণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এবং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জনগণের স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।