ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিশু সামিউল হত্যা মামলা

হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে আরিফের জবানবন্দি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১০

ঢাকা: রাজধানীর আদাবরে শিশু সামিউল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পরকীয়া প্রেমিক সামসুজ্জামান আরিফ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।



এছাড়া আরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী নাদিয়া জামান সাথীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।   বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে সামিউল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে আরিফের ভাই নুরুজ্জামানকে ৫৪ ধারার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। নুরুজ্জামানের পক্ষে জামিনের আবেদন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিচারক শামিমা পারভীন উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। প্রয়োজনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।  

সহকারি পিপি আজাদ রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, আসামি আরিফ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহান হক আসামীর ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

আদালতের অনুমতি নিয়ে সাথী আদালতকে বলেন, ‘আসামী আয়েশা আমাকে না জানিয়ে আমার স্বামীকে টাকা দেয়। আমাকে না জানিয়ে টাকা ধার দেয়ায় আমি থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। আরিফ আমাকে এক বছর আগেই ছেড়ে দিয়েছে। তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নাই। আমি উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে কিছু জানি না। ’

নিহত সামিউলের বাবা কেএ আজম বাদি হয়ে গত ২৪ জুন আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তিনি স্ত্রী আয়েশা হুমায়রা ওরফে এশা ও স্ত্রীর প্রেমিক সামসুজ্জামান ওরফে আরিফকে আসামি  করেছেন। এজাহারে সাথীর নাম ছিল না। তাকে এ ঘটনায় তাকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আদাবর থানা পুলিশ ২৪ জুন সন্ধ্যায় আয়েশা হুমায়রাকে গ্রেপ্তার করে।


মামলার এজাহার হতে জানা যায়, আসামি আয়েশা হুমায়রা এশা ও কেএম আজম দম্পতির একমাত্র সন্তান খন্দকার শামিউল আজিম ওরফে ওয়াফি। তার বয়স সাড়ে ৫ বছর। গত ২২ জুন ওয়াফি নিঁখোজ হয়। তার বাবা কেএম আজিম ঐদিনই আদাবর থানায় একটি জিডি করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেন, সাথী উক্ত ঘটনা সমন্ধে জানতে পারে। যেহেতু এজাহার নামীয় আসামী আরিফ আয়েশার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে শত্র“তা শুরু হয়। উক্ত ঘটনা সমন্ধে সে জানতে পারে সন্দেহে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান খান আসলাম।

বাংলাদেশ সময় : ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।