ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একরামুল করিম চৌধুরীর সংবর্ধনা : নোয়াখালী জুড়ে সাজসাজ রব

সালাম ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০
একরামুল করিম চৌধুরীর সংবর্ধনা : নোয়াখালী জুড়ে সাজসাজ রব

নোয়াখালী থেকে : ‘বিষ্টি অইলেই আঁডুহানি অই যায়। ড্রেনগুলার সংস্কার নাই।

ড্রেনে দি হানি যায় না, রাস্তায় জমা অই থায়ে। অন হতম শ্রেণীর জেলা অইছে। হইসা-হাত্তি বেশি দিবো সরকার। অন এমপি সাব জেলার উন্নয়নে আরও সাহস লই আগাই যাইতে হাইরবো। ’

কথাগুলো বললেন, নোয়াখালীতে এসএ পরিবহন কুরিয়ার ও পার্শ্বেল সার্ভিসের শাখা ব্যবস্থাপক নূরুল আলম।

সরকারের এ সিদ্ধান্তে গর্বিত এ কর্মকর্তা জানান, শহরে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিকল্প সড়কগুলোর উন্নয়ন না হওয়ায় একটি সড়কের ওপরই সব চাপ এসে পড়ে। কোনো অনুষ্ঠান বা সভার আয়োজন হলে যানজটে থমকে যায় পুরো শহর।

তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অন এমপি সাব চাইলে জেলার এই সমস্যাগুলা তাড়াতাড়ি সমাধান অই যাইবো। ’

নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সম্প্রতি নোয়াখালী, কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে প্রথম শ্রেণীর জেলা হিসেবে উন্নীত করেছে সরকার। নোয়াখালীর মাইজদি কোর্টে শহীদ মিনারের পাশে বিজয়মঞ্চে শনিবার তাই জেলাবাসীর উদ্যোগে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জেলার কৃতি সন্তান ও প্রথম শ্রেণীর জেলায় উন্নীত করার পেছনে অবদান রাখা সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে।

জেলাজুড়ে তাই সাজসাজ রব। আনন্দে আত্মহারা মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে সম্বর্ধনা দিতে জড়ো হয়েছেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

স্থানীয় প্রেসকাবে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক সাংবাদিক বললেন, ‘প্রথম শ্রেণীর জেলা হওয়ায় এখন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জেলার কোটা সংখ্যা বাড়বে। শিক্ষিতরা সরকারি চাকরির সুযোগ আগের চেয়ে বেশি পাবে। ’

তারা বলেন, ‘আগের সরকারগুলোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে শিক্ষার দিক থেকে নোয়াখালবাসী পিছিয়ে ছিল। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় এবং প্রয়োজনীয় উপকণের অপর্যাপ্ততাই এর কারণ। বর্তমান সংসদ সদস্য জেলার উন্নয়নে অনেক আন্তরিক। তার প্রচেষ্টায় জেলা প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। এখন বাকি কাজগুলোও আশা করি তিনি ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন।

মাইজদি কোর্টের স্টার রেস্তোরাঁর কর্ণধার আবু তাহের বলেন, ‘এইডা আঙ্গো লাই খুশির খবর। অন বরাদ্দ বাইড়বো, জেলার উন্নয়ন অইবো। প্রথমবার নির্বাচিত অই একরাম সাব নোয়াখালীবাসীর সেরা এমপি অই গেলেন। ’

রিকশাচালক জামাল মিয়ার মতে, এখন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন বেশি হবে। শান্তিমতো তিনি রিকশা চালাতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘বাই কী আর কমু, বিষ্টির সমে রিকশাডা টাইনতে খুব কষ্ট অয়। অন এমপি সাব যদি রাস্তাঘাটের উন্নয়নকাম ঠিকমতো কইত্যে হারেন, তই একটু মনে করেন যে, ভালামতো রিকশা চালাইতে হারুম। আয়-রুজিও বেশি অইবো। ’

প্রধান সড়কের পান দোকানদার আলী আজগর বললেন, ‘বিষ্টির দিনে ব্যবসা বালা অয় নয়। কাস্টমার থায় না। বালা করি বইতামো হারি না। ’

দেশের ৮০ ভাগ শিল্পপতি নোয়াখালীর সন্তান দাবি করে নূরুল আলম বললেন, ‘এ অঞ্চলের মাইনষ্যের টেঁয়ার অভাব নাই। কিন্তু অনও টিনের ঘরের শহর হিসাবে (হিসেবে) পরিচিত আঙ্গো জেলা। ’

যোগ করলেন তিনি, ঢাকার লগে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকনে কেউ ইয়ানে কিছু কইত্যে চায় না। অন এমপি সাব রাস্তাডারে বালা কইল্যে শিল্পপতিরা আরও বেশি আগাই আওনের সাহস হাইবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।