ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
‘কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সিএসআর কার্যক্রম ও বিনিয়োগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আয়োজিত সেমিনার | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেছেন, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) কোরিয়ান কোম্পানিগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিএসআর শুধু একটি নিছক শব্দ নয়, আমরা যে কমিউনিটির  সঙ্গে কাজ করি তার প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম ও বিনিয়োগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দুই শতাধিক কোরিয়ান কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য  ইয়ংওয়ান, স্যামসাং, এলজি, উরি ব্যাংক ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানের সিএসআর কার্যক্রমে আমরা খুব খুশি। কেননা এসব প্রতিষ্ঠান শুধু লাভের দিকে না তাকিয়ে, মানবতার দিকেও লক্ষ্য রাখে।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বাড়বে। ফলে বিনিয়োগ আরও সহজ হবে।

সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সি বলেন, চলতি  বছর বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। গত পাঁচ দশকে কোরিয়া ও বাংলাদেশ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা দেখিয়েছে।  কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়, যেমনটি আমরা আরএমজি সেক্টরে করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি, অনেক চলমান অবকাঠামো প্রকল্প খুব সহজে অগ্রগতি করবে এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বিগত ৫০ বছরের অর্জনের ওপর ভিত্তি করে কোরিয়া এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেহেতু আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করছি, এই যাত্রায় সিএসআর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। সিএসআর শুধু একটি নিছক শব্দ নয়, আমরা যে কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করি তার প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি।

বিডার পরিচালক জসিম উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বৈষম্য নেই। উভয়েই সমান সুযোগ পেয়ে থাকেন। আমরা সব সময়েই বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। এখানে বিনিয়োগকারীরা সহজলভ্য   শ্রমের সুযোগ নিয়ে যে কোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।

সেমিনারে বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানির সিএসএর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কোরিয়ান কোম্পানির  সিএসআর রিপোর্ট উদ্বোধন করা হয়।  সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কোটরার কান্ট্রি ডিরেক্টর স্যাম সু কিম, সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহমিন এস জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।