ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ধর্মঘট কর্মসূচি মঙ্গলবার ২য় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে বন্দরে লোড-লোড, আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
ধরখার-আগরতলা সড়কের ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের দাবিতে আখাউড়া আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও আখাউড়া সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এ ধর্মঘট আহ্বানের ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে দৈনিক প্রায় দেড় কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
ধর্মঘট বিষয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ‘ধরখার-আগরতলা সড়ক সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমানে সড়কেটির যে অবস্থা তা দিয়ে পায়ে হাঁটাই দায়! আর এ সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল এখন প্রায় অকল্পনীয় ব্যাপার!’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির কোনো সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না। এতে করে আমাদের ব্যাপক লোকসান গুণতে হচ্ছে। ’
আখাউড়া সিএডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল এ বিষয়ে বলেন, ‘কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ধরখার থেকে সোনারবাদী চেকপোস্ট পর্যন্ত মোট ১৬ কিলোমিটার রাস্তার পুরো এলাকা একেবারে নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলে ২৫/৩০ টন পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক প্রায়ই বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ’
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে ট্রাক মালিকরা ট্রাকের ভাড়া আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। এতে করে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে।
সড়ক মেরামত বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শেখ সোহেল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে ইট-বালি, সুড়কি ফেলে রাস্তাটি সচল করার কাজ চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে রাস্তাটি সচল করা সম্ভব হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫, অক্টোবর ১২, ২০১০