ঢাকা: ১৯৯০ সালে প্রণীত ‘জাতিসংঘ অভিবাসী সনদ’ অনুস্বাক্ষরের (রেটিফিকেশন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ইসরাফিল আলম।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে ভোগ-বিলাস ও অভিজাত জীবনযাপনের ক্ষেত্রে নতুন বাধ্যবাধকতার সৃষ্টির আশঙ্কায় এ ধরনের সনদের বাস্তবায়ন তারা চান না, বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্তও করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে দেশে-বিদেশে শ্রমিকদের মর্যাদা, কল্যাণ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সনদে স্বাক্ষর করেছিল। তাই বর্তমান সরকার দ্রুততম সময়ে এটি অনুস্বাক্ষর করবে। ’
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসকাবে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার ও জাতিসংঘ সনদ: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে রেটিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র যে তার দরিদ্র নাগরিকদের দেখে না, শ্রমিকের অধিকার বোঝে না, সে শুধু জানে কিভাবে ধনীদের স্বার্থ রক্ষা হবে। ’
তাই অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার রক্ষায় এ সনদ অনুস্বাক্ষরের ক্ষেত্রে কোনো গড়িমসি কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সেমিনারে ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজের উপ-পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস।
সেমিনারে এ সনদ অনুস্বাক্ষরের গুরুত্ব উল্লেখ করে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান, যুগ্মসচিব শামসুন্নাহার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১০