তুরাগ থেকে: সালেহপুর ব্রিজ ভেঙে তুরাগ নদীতে নিমজ্জিত বাসটি তোলা ও নিহতদের উদ্ধারে পরিচালিত অভিযানে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ ওঠেছে।
গত ৩২ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
নৌবাহিনীর আর্মস ফোর্স ডিভিশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এমএএস সাদেক বাংলানিউজকে জানান, নিমজ্জিত বাসটি উদ্ধারে ৩০০ টন মাল বহনে সক্ষম একটি বড় ভেসেলের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ভেসেলের সাথে রশি বেঁধে টেনে তোলার চেষ্টা করা হলে ভেসেলটি ঘুরপাক খেতে থাকে। এতে রশি ছিঁড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। রশি ছিঁরে গেলে বাসটি খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে ভেবে ৫টা ২০মিনিটে উদ্ধার অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আরও একটি ভেসেল নিয়ে আসা গেলে নিমজ্জিত বাসটি তোলা সম্ভব হবে। তবে গত আড়াই ঘণ্টায় দ্বিতীয় ভেসেল আনা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন মাত্র এক কিলোমিটার দূরে গাবতলী গরু বাজার সংলগ্ন ঘাটে শত শত ভেসেল নোঙর করা আছে। কিন্তু আড়াই ঘণ্টায় একটি ভেসেল আনা হয়নি।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত নৌ বাহিনীর লে. কমান্ডার মঈনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভেসেল নয় সালভেজ অপারেশন পদ্ধতিতে নিমজ্জিত বাসটি তোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ’
তিনি জানান, সালভেজ পদ্ধতি হলো, উদ্ধারকারী ভেসেলকে পানিতে ভরে অন্তত চার ফুটের মতো পানিতে নামিয়ে পানির সমতলে নিয়ে বাসের সঙ্গে রশি বাঁধা হবে। এরপর ভেসেলের পানি অপসারণ করে ফেলা হবে। এতে ভেসেলের সঙ্গে সঙ্গে নিমজ্জিত বাসটিও উঠে আসবে।
কিন্তু তার বক্তব্যের দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ জাতীয় কাজের কোনো নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবু নাঈম মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ‘আমরা এখন ক্রেনের সাহায্যে বাসটি উত্তোলনের প্রচেষ্টা শুরু করতে যাচ্ছি। এ কাজে ভেসেলের উপরে দুটি ক্রেন তোলা হয়েছে। বাসটিকে রশি দিয়ে ক্রেনের সঙ্গে বাঁধার চেষ্টা চলছে। ’
উদ্ধারকারী তিনটি বাহিনীর পৃথক পৃথক সিদ্ধান্তের কারণে এই সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১০