নাটোর: জেলার গুরুদাসপুরে কুটুমবাড়ি নামে এক রেস্টুরেন্টে মাঝেমধ্যেই খাওয়া-দাওয়া, নতুন নতুন পোশাক উপহার ও নগদ অর্থ দেওয়ার মাধ্যমে মালিক মো. সাইফুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর।
এরপর বিয়ের প্রলোভনে স্থানীয় শ্রমিক অফিসে ডেকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন রেস্টুরেন্ট মালিক।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পৌরসদরের চাঁচকৈড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর খালু মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আটক সাইফুল ইসলাম চাঁচকৈড় বাজারের কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের পরিচালক এবং কাচারিপাড়া মহল্লার মৃত মহির উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মনোয়ারুজ্জামান মামলার বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, গুরুদাসপুর পৌরশহরের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী। আর চাঁচকৈড় বাজারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের কুটুমবাড়ি নামে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে মাঝেমধ্যে খেতে যেতো ওই ছাত্রী।
বিনা পয়সায় খাওয়া-দাওয়া, মাঝেমধ্যে টাকা ও নতুন কাপড় উপহার পেয়ে রেস্টুরেন্ট মালিক সাইফুলের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় স্কুল ছাত্রীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য চলতি বছরের গত ৩০ জুলাই চাঁচকৈড় শ্রমিক অফিসের দ্বিতীয় তলায় স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নেয় সাইফুল ইসলাম। কথা বলার একপর্যায়ে সাইফুল জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।
ঠিক একই কায়দায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে একই অফিসের দ্বিতীয় তলায় সাইফুল ওই ছাত্রীকে ডেকে নেয়। কথাবার্তা চলাকালীন সময় পুনরায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে হাতে-নাতে সাইফুলকে আটক করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামের কঠোর বিচার দাবি করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআইএ