ঢাকা, শুক্রবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিআরটিএ লাইসেন্সসহ ১০ দাবি ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
বিআরটিএ লাইসেন্সসহ ১০ দাবি ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিকদের ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের শ্রমিকরা।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. আধুনিকায়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করে বুয়েট প্রস্তাবিত মডেলে আধুনিকায়নসহ বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদান করা এবং আধুনিকায়নের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া।

২. বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও লাইসেন্স প্রদান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত যানবাহন আটক বন্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করা।

৩. ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন-চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং কার্ড-টোকেনের নামে চলমান অবৈধ চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও পুলিশ ট্রাফিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।  

৪. ব্যাটারিচালিত যানবাহনের গ্যারেজের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া।

৫. বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা এবং রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক ও সাইকেলের জন্য সব সড়কে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা। বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার ভিত্তিতে রাস্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ব্যাটারিচালিত যানের জন্য র‍্যাকার বিল কমিয়ে যৌক্তিক করা।

৬. শ্রমিকদের জন্য রেশন চালু ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
 
৭. বিনামূল্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করা।

৮. ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহনের স্বীকৃতি দেওয়া। শিল্পের বিকাশে সহায়তার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার এক অংকের সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া।

৯. "জীবিকা সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন করা।

১০. রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিকদের মানুষ হিসেবে নাগরিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সরকার লুটপাটকারী সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের স্বার্থে বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। যার প্রধান শিকার দেশের শ্রমজীবী মানুষ। একদিকে সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, অন্যদিকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে শ্রমজীবীদের রুটি-রুজির অবলম্বন সংকুচিত করা হচ্ছে। অবিলম্বে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বলেন, মন্ত্রী-এমপি- আমলাদের বেতন বৃদ্ধি হলে তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটা বাস্তবায়ন করেন। সম্ভব হলে পূর্বের সময় থেকেই বেতন ও সুবিধা বৃদ্ধি কার্যকর হয়। সরকার ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং পুলিশ ও সরকার দলীয় গুণ্ডাদের মাসোয়ারা ঠিক রাখতে নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স দেওয়া আটকে আছে।

রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম মাইজভাণ্ডারী সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রাগীব আহসান মুন্না, জলি তালুকদার, বস্তিবাসী ইউনিয়নের আহ্বায়ক মো. নুরুজ্জামান, রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুমন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক অনিক রায়, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুহিব মোল্লা, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদপুর থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।