ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মিট দ্য প্রেসে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: ফোকাস বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে  বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভিসানীতি প্রয়োগ করা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে?

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের কোথায় ছিল?

বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের চেষ্টার বিষয়েও সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা দেশের বাইরে থেকে যেন না হয়। এটি হলে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর হোক তা আমরাও চাই। ’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ভিসানীতির কারণে এবার তারা হয়তো এত দূর যেতে পারবে না। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতির একটি সুবিধা হলো, এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। জনগণের ওপর নির্ভর করে তিনি ক্ষমতায় আছেন। তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সেখানে তাঁর পরিবার আছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভিসানীতি প্রয়োগ করছে, তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কী করছে? আমরাও তো এতটা করি না!’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে কথাই ছিল, ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা। বিএনপি এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা দেড় মাসও টিকতে পারেনি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট ও ভাতের অধিকার আওয়ামী লীগই করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব—এটি আমারই স্লোগান। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাঁকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন বলে জানান।

কন্যা সায়মা ওয়াজেদের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে আসবে না আসবে, বাংলাদেশের জনগণ ও দল ঠিক করবে। ’

তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ অটিজম নিয়ে কাজ করছে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।