ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তাহলে কি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিই দায়ী?

হাসান জামিল শিশির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০

ঢাকা: ‘ঘড়িতে তখন সময় সকাল সাড়ে এগারোটা কি পৌনে বারোটা। সাভারের সালেহপুর ব্রিজের কাছেই ট্রাক থামিয়ে ৭/৮ জন শ্রমিক তাদের পড়ে যাওয়া বালু তুলছিলেন।

বৈশাখী পরিবহনের গাড়ির চালক হয়তো তখন ব্রিজে ওঠার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন।   হঠাৎ করেই রাস্তার পাশে ট্রাক ও তার শ্রমিকদের দেখে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। সামলাতে সামলাতে ট্রাক ও শ্রমিকদের বাঁচালেন ঠিকই কিন্তু নিজেকে ও বাসটিকে সামলাতে পারলেন না। ট্রাকটি অতিক্রম করেই রাস্তার বায়ে দিয়ে গভীর নদীর মধ্যে নেমে গেলো বাসটি। এরপর যা কিছু ঘটেছে এখন তা সবারই জানা। ’

রোববার দুপুরে সালেহপুর ব্রিজের কাছে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বিষয়ে বাংলানিউজের কাছে এমন বর্ণনাই দিলেন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করা এক যুবক।  

তিনি বলেন, বালু শ্রমিকদের বাঁচাতে তীব্র গতির বাসটিকে দ্রুত বাম দিকে নেওয়ার চেষ্টা করতেই গাড়িটি সরাসরি নদীর মধ্যে পড়ে যায়।

৩০/৩২ বছর বয়সের যুবকটি কোনোভাবেই নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতে রাজি নন। পরে ঝামেলা হতে পারে এই আশঙ্কায়।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই ব্রিজে চোখের সামনে কত যে দুর্ঘটনা দেখেছি তা গুণে বলতে পারবো না। আসল ঘটনাটা বলতে গিয়ে বহুবার ঝক্কি ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। ’

আমিনবাজারের সালেহপুর ব্রিজ ঘিরে হাজারো মানুষের হৈচৈ, কোলাহল, শোর-চিৎকারের মধ্যেই কথা বলতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা ওই যুবক। দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক-দেড়শ’ গজ দূরেই তার বাড়ি- এটুকুই জানালেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জানান, বাসটি নদীতে নিমজ্জিত হওয়ার পর পরই বালু শ্রমিকরা তাদের ট্রাকে উঠে দ্রুত চম্পট দেয়। তিনি চালকের চেয়েও বালু শ্রমিক ও ব্রিজের কাছে ভিড়িয়ে রাখা ট্রাকটিকে বেশি দায়ী বলে মনে করেন।

বাংলানিউজের এই প্রতিবেদক নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্থানে বালু পড়ে থাকতে দেখেছেন।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, রাত দিন ওই এলাকায় বালু আর মাটিবাহী ট্রাকের দাপটে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো কোণঠাসা অবস্থায় চলাচল করে থাকে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটে মাটি ও বালুবাহী ট্রাকগুলোর বেপরোয়া চলাচল ও যেখানে সেখানে থামিয়ে রাখার কারণে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘন্টা, ১০ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।