সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে: আহত নয়, বরং আতঙ্কই বেশি চেপে ধরেছিল ২৫ বছরের তরুণ তপন রায়কে।
সাভারের নদীতে বাসডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আটজনের একজন তিনি।
দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শেফালিকা দাস বাংলানিউজকে জানান, একদিকে আতঙ্ক আর অন্যদিকে মানুষের কৌতূহল এ দুই কারণে তপন চলে গেছেন। তাকে অনেক চেষ্টা করেও ভর্তি করানো যায়নি।
তবে ঘণ্টাখানেকের আলোচনায় অনেক তথ্যই নিয়ে রেখেছিলেন শেফালিকা দাস।
তিনি জানান, শ্যামলীর হিরা মঞ্জিলের বাসিন্দা তপন রায় সাভার রেডিও কলোনিতে যাচ্ছিলেন অসুস্থ শ্বাশুড়িকে দেখতে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিলাম ফরিদা গ্রামের ভোলা রায়ের ছেলে তপন।
তপনের বরাত দিয়ে তার চিকিৎসক জানান, বাসের ভেতরে যারা ছিলো কেউই ঘটনা আগাম আঁচ করতে পারেনি। বুঝতে পারেনি কি ঘটেছে? বাসটি পানির অনেক নিচে চলে যাওয়ার পর দরজার পাশে থাকা কয়েজকন এবং কয়েকজন গ্লাস ভেঙে বের হতে পেরেছিলেন। তপনও গ্লাস ভেঙে বের হয়ে এসেছেন। তার হাত অনেকখানি কেটেছে।
তপন তাকে জানিয়েছেন, ৫২ সিটের গাড়ির সবক’টি সিটেই যাত্রী ছিল। এছাড়া ৭/৮ জন দাঁড়িয়েও ছিল।
তবে মহিলা ও শিশু কতজন ছিল তা বলতে পারেননি তপন রায়।
তপন বারবার বলছিলেন, ‘আমরা অনেক গভীর থেকে উঠে এসেছি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। গাড়িচালকও বেরিয়ে আসতে পারেননি। ’
ডা. শেফালিকা দাস বলেন, ‘তপনের ইনজুরি খুব বেশি মারাত্মক নয়। অল্প কিছুদিন বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে উঠবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর, ২০১০