সালেহপুর ব্রিজ:সাভারের আমিনবাজারে তুরাগ নদীতে ডুবে যাওয়া বাসটি চিহ্নিত করতে চট্টগ্রাম থেকে আনা সোনার ডিভাইসের ৪ ঘণ্টার চেষ্টাও আশা জাগাতে পারেনি। বরং স্থানীয় লোকজন ধীরে ধীরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
নৌবাহিনীর সৌনার বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের দল রাত ১টা ৩৬ মিনিটে সৌনার দিয়ে তল্লাশি শুরু করলেও ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোনও সাফল্য দেখাতে পারেনি।
এদিকে, উদ্ধারকাজে অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিখোঁজদের স্বজনদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। ধীরে ধীরে ভিড়ও কমতে শুরু করেছে। স্থানীয় লোকজন সকাল হওয়ার আগে সরকারি উদ্ধারকারী দল বাসটি খুঁজে বের করতে না পারলে নিজেরা উদ্ধারকাজে হাত নামবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে রোববার দিনভর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের দশ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের ফলাফলও ছিল শূন্য। সে দলে যোগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির পদক প্রাপ্ত দমকলের শ্রেষ্ঠ ডুবুরী আবুল খায়ের।
তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে উদ্ধারকারীদের প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়েছে।
সর্বশেষ চট্টগ্রামে থেকে নিয়ে আসা হয় নৌবাহিনীর সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিং (স্যোনার) ডিভাইসটি। ১২ টা ২০ মিনিটে আকাশপথে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এটি।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে এলেও ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে আবার ফিরে যান।
এর আগে বাসের সন্ধানে দমকল ‘সার্চ ক্যামেরা’ ব্যবহারের পরও ফল মেলেনি।
জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে এখন প্রিয় স্বজনের মরদেহের অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে আছেন সবাই।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমিনবাজারের সালেহপুর সেতুর কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায় গুলশানের বাড্ডা থেকে ছেড়ে আসা বৈশাখী পরিবহনের বাসটি।
বাসটি সাভারের রেডিও কলোনি যাচ্ছিলো।
এতে মারা যান মনোয়ারা হোসেন তারা নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রী।
দুর্ঘটনার পরপর বাসের আট যাত্রী সাঁতরে ওপরে উঠে আসতে সক্ষম হলেও বাকিরা এখনো আটকে আছেন বাসের ভেতর।
বাংলাদেশ সময় ০২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০