ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টা না নিলে এসডিজি অর্জন দুঃসাধ্য হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টা না নিলে এসডিজি অর্জন দুঃসাধ্য হবে

ঢাকা: জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণাসহ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে উপনিত হয়েছে, যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্য ও জলবায়ু সংকট এসডিজির অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে এসডিজি অর্জনে নতুন কৌশল ও সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণসহ আন্তর্জাতিক সংহতি জোরদার না করা হলে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের চ্যলেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা দুঃসাধ্য হবে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এসডিজির মধ্যবর্তী পর্যালোচনা ও ভবিষ্যত করণীয় শীর্ষক জাতীয় জনসম্মিলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যৌথভাবে এই জনসম্মিলনের আয়োজন করে এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট প্রোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী ও এনআরডিএস এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়ালের স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় সম্মিলনে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন, সেইভ দ্য চিলড্রেনের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড ক্যাম্পেইন ম্যানেজার সামিয়া আহমেদ, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক রাহা নবকুমার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রুলফাও এর নির্বাহী প্রধান আফজাল হোসেন, বাস্তবের নির্বাহী প্রধান রুহী দাস, রাসিনের নির্বাহী প্রধান আসমা আক্তার মুক্তা, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, পেইভের নির্বাহী প্রধান কে জি এম ফারুক, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী সালেহ ইসলাম শান্তনা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দারিদ্র, ক্ষুধা ও অসমতামুক্ত সমাজ তৈরি করাই এসডিজির উদ্দেশ্য। ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এসডিজি অর্জনের ধারাবাহিকতাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ করেছে।  

তারা আরো বলেন, ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, যা বাণিজ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং পণ্যের মূল্যকে প্রভাবিত করেছে। এরকম প্রেক্ষাপটে এসডিজি অর্জনে নতুন কৌশল ও সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণসহ আন্তর্জাতিক সংহতি জোরদার না করা হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের চ্যলেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা দুঃসাধ্য হবে।

এবছর জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময় অতিক্রম করছে এবং ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হতে যাচ্ছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ।  

এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।