ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কুয়েত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়ানোর অনুরোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০

ঢাকা: কুয়েত থেকে জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরশেন (কেপিসি)।
 
সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছে আমদানি বাড়ালে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দেনা পাওনা মিটে গেলে তেল রপ্তানিতে শর্ত শিথিলের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করার।



বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বাংলানিউজকে জানান, তেল আমদানি নিয়ে কুয়েত কেপিসি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে অনুরোধ করেছে। আমরা তাদের শর্ত শিথিলসহ অন্যান্য সুবিধা দাবি করেছি।

রোববার বিকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে কেপিসির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে। এ সময় জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার সকালে প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দেনা পাওনা মিটে গেলে তারা শর্ত শিথিল করার আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা কুয়েত থেকে আরও বেশি পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানির অনুরোধ করেছে। সেইসঙ্গে কেপিসি বাংলাদেশে তেল পরিশোধনাগার (রিফাইনারি) স্থাপন করতে চায় ।

তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব জাহাজে তেল আমদানি, শর্ত শিথিল ও পরিবহন খরচ কমানোর অনুরোধ জানিয়েছি।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের পরিশোধন ক্ষমতা বছরে ১২ থেকে ১৫ লাখ টন। বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সরকার উৎপাদন মতা তিনগুণ করতে চাইছে।

কেপিসির সঙ্গে বছরে ২০ লাখ টন তেল আমদানির চুক্তি করা আছে। কঠিন শর্ত আর আমদানি খরচ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ বর্তমানে কুয়েত থেকে ১২ লাখ টন তেল আমদানি করে থাকে।

ওই কর্মকর্তা জানান, ২০ লাখ তেল আমদানির চুক্তি থাকলেও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কেপিসি অযৌক্তিকভাবে প্রতিবছরই কোনও না কোনও কারণে প্রিমিয়াম ও সুদের হার বাড়ানো, নিয়ম ভঙ্গ করে ২০ বছরের বেশি পুরনো জাহাজ দিয়ে তেল রপ্তানিসহ নানা সমস্যা করায় বাংলাদেশ কুয়েত থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিকল্প বাজার হিসাবে মালয়শিয়া, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন ও মিশর থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মাধ্যমে বছরে ২৭ লাখ টন পরিশোধিত ও ১৩ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে থাকে।

বাংলাদেশ ২০০৩ সাল থেকে কুয়েত থেকে তেল আমদানি করে থাকে। ওই সময় শুধু কুয়েত থেকেই তেল আনা হতো। ২০০৯ সালে কুয়েত সুদের হার দ্বিগুণ করায় আমদানি কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে কুয়েত ছাড়াও অন্য দেশ থেকেও তেল আমদানি শুরু করে। এতে কুয়েত সুদের হার কমাতে বাধ্য হওয়ায় আবার আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় : ২০১৩, অক্টোবর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।