ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুই ‘কিশোর অপরাধী’কে ১০ বছর আটকাদেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দুই ‘কিশোর অপরাধী’কে ১০ বছর আটকাদেশ

বরগুনা: স্কুলছাত্রী কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুই কিশোর। এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই কিশোর অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন বরগুনার ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব কাউনিয়া গ্রামের শাহজাহান মল্লিকের ছেলে মোকলেছুর রহমান ও লতিফ মল্লিকের ছেলে বাবু। এ ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ১৫ ও ১৪ বছর। এ কারণে ২০০৮ সালের সেই ঘটনার সময়ে তাদের বয়স বিবেচনা করে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় মোকলেছুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বাবু পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

জানা গেছে, একই ঠিকানার স্কুলছাত্রী ওই ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর বাদী হয়ে ওই দুই শিশু অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার সময় ভুক্তভোগী বেতাগীর বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে কাউনিয়া এমদাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন। আসামিরা ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো। স্কুলছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় শিশু অপরাধীরা প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর রাত অনুমান ৮টার দিকে ভিকটিম প্রস্রাব করতে বাইরে বের হয়। সেখানে অভিযুক্তদের সে দেখতে পেয়ে ভয়ে দৌড়ে আবার ঘরে ঢোকে। স্কুলছাত্রীর বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্তরা তার পেছনে দৌড়ে তার ঘরে উঠে মুখ চেপে ধরে। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এরপর ওই স্কুলছাত্রী অভিযুক্তদের হাত থেকে ছুটে চিৎকার দিলে কতিপয় সাক্ষী সেখানে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে বেতাগ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম জসিম উদ্দিন ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল এ ঘটনার চার্জশিট দাখিল করেন। অবশেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুই শিশু অপরাধীকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

শিশু অপরাধীদের আইনজীবী মো. হুমায়ূন কবির বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ১৭-১৮ বছরের শিশুরা ধর্ষণসহ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর।

তিনি আরও বলেন, আইনে শাস্তি কম হওয়ায় এক শ্রেণীর সন্ত্রাসীরা শিশুদের দিয়ে জঘন্য অপরাধ করায়। শাস্তি বেশি হলে অপরাধ অনেকটাই কমে যেত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।