রংপুর: ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষের পর রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দর রউফ বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজের মুক্তা হোস্টেলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। এসময় হোস্টেলের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সব হল বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সকাল সাড় ১১ টার দিকে ছাত্রলীগের কুতুব গ্রুপ অধ্যক্ষের অফিসের সামনে ধর্মঘট করে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে দায়িত্বরত গোয়েন্দা পুলিশের কনেস্টবল আসাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, সম্প্রতি আশফাকুল ইসলাম পুলককে সভাপতি সঞ্জয় সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে রংপুর মেডিকেল কলেজের একটি কমিটিকে অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল পূর্বের কমিটির সভাপতি ইরফান নওরোজ নুর তামিম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান হিরণ সমর্থিত কুতুব কাওছার নিপুন গ্রুপ।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার রাতে মুক্তা হোস্টেলে পোস্টার লাগাতে গেলে তাতে বাধা দেয়ে পুলক ও সঞ্জয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুতুব গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়। এরপর রোববার সকালে ওই হোস্টেলের ৩৯, ৪০, ৪৫, ৪৮ ও ৫০ নম্বর রুমে ভাঙচুর করা হয়।
ছাত্রলীগের সভাপতি পুলক বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের ছত্রছায়ায়া কুতুব-হীরণ ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। তারাই ছাত্রলীগের বৈধ কমিটির কাজকর্মে বাধা দিচ্ছে। সাধারণ ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের কক্ষগুলো ভাঙচুর করেছে।
অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পুলকের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে জখম করেছে।
এব্যাপারে হাসানুল হক নিপুন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০