ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তুরাগে ডুবে যাওয়া বাস থেকে লাশ উদ্ধার শুরু

আনোয়ারুল করিম রাজু ও রহমান মাসুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১০
তুরাগে ডুবে যাওয়া বাস থেকে লাশ উদ্ধার শুরু

সালেহপুর ব্রিজ থেকে: সাভারে তুরাগ নদীতে ডুবে যাওয়া বাসটি থেকে লাশ উদ্ধার শুরু হয়েছে। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে উঠানো হয়েছে প্রথম লাশটি।

এটি একজন পুরুষের লাশ। ঢাকার জেলা প্রশাসক মুহিবুল হক রেডক্রিসেন্টের কাছে ৫০টি কফিন চেয়েছেন। তিনি মনে করছেন বাসটিতে অন্তত ৩০-৩৫টি লাশ পাওয়া যেতে পারে। রেডক্রিসেন্টকে দাফনসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ডাকা হয়েছে।

এর আগে সাভারে তুরাগ নদীতে ডুবে যাওয়া বাসটির অবস্থান নিশ্চিত করে দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে ডুবুরি চান মিয়া বাসটিতে রশি বেঁধে আসেন।   বাসের ভিতরে আটকে থাকা ৫টি লাশ দেখে এসেছেন বলেও বাংলানিউজকে জানান চানমিয়া। চাঁন মিয়া চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউসের ইন্সপেক্টর।

ওয়ার্ক বোটে ইকো সাউন্ডার ডেপথ ও সাউন্ড মডিউলার ব্যবহার করে সোমবার সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে বাসটি শনাক্ত করার পর থেকেই শুরু হয় ডুবুরিদের তৎপরতা।

এর মধ্য দিয়ে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বাসটির সন্ধান পেতে সক্ষম হলো উদ্ধারকারীদল।

বিআইডব্লিউটিএ এর অনুসন্ধান বোট কনকে অবস্থানরত বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আনোয়ারুল করিম রাজুকে মুহিবুল হক বলেন, ‘ডুবে যাওয়া বাসটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাতে রশি বাঁধা হয়েছে। ’

এর আগে সোমবার সকাল থেকে নতুন করে শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক এমদাদুল হক তখন বাংলানিউজকে জানান প্রাথমিকভাবে বাসের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

নদীর তলদেশ দিয়ে চলে যাওয়া গ্যাসের পাইপলাইনে ছিদ্র থাকায় প্রচণ্ড বেগে বুদবুদ বের হওয়ায় উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটে। পরে তিতাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওই লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এতে বুদবুদ বেরোনো বন্ধ হলে ডুবুরিদের পক্ষে শনাক্ত করা বাসটির কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় বলে জানান দমকল বাহিনীর পরিচালক আবদুস সালাম।  

এর আগে চট্টগ্রাম থেকে আনা ‘সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিং’ সংক্ষেপে সোনার যন্ত্র দিয়ে রোববার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ব্যর্থ হয় সেনা, নৌ ও দমকলের উদ্ধারকারী দল।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমিনবাজারের সালেহপুর সেতুর কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে প্রবল স্রোতে পড়ে ডুবে যায় গুলশানের বাড্ডা থেকে ছেড়ে আসা বৈশাখী পরিবহনের বাসটি।

বাসটি সাভারের রেডিও কলোনি যাচ্ছিলো।

এর আগে বাসের সন্ধানে দমকল বাহিনী ‘সার্চ ক্যামেরা’ ব্যবহারের করেও পর-ও ফল মেলেনি।

মৃতদের লাশের অপোয় ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন তাদের অত্মীয়-স্বজন।

বাসডুবির ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মনোয়ারা হোসেন তারা।

দুর্ঘটনার পর পর বাসের আট যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসতে সম হলেও বাকি যাত্রীরা বাসের মধ্যেই আটকে আছেন বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারী দল।

 



বাংলাদেশ সময়:১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।