ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেবিচকের দুই প্রকৌশলী চাকরিচ্যুত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
বেবিচকের দুই প্রকৌশলী চাকরিচ্যুত

ঢাকা: দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকায় বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দুই প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বেবিচকের পৃথক দুটি অফিস আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

 

চাকরিচ্যুত দুই কর্মকর্তা হলেন- বেবিচকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুজ্জামান ও সিনিয়র যোগাযোগ প্রকৌশলী মো. ইখতিয়ার ইসলাম।

অফিস আদেশে বলা হয়, শহীদুজ্জামান বেবিচকের সদর দপ্তর প্রকৌশল বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ২১ দিনের ছুটি নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু ছুটি শেষে দেশে না আসায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ এনে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

জানা গেছে, শহীদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বেবিচকের বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে অন্তত ১০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) মামলা হয়েছে।

ওই মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে ডিমোশন দেওয়া হয়। আদেশের তারিখ পর্যন্ত অননুমোদিত ছুটিকে বিনা বেতনে সাধারণ ছুটি হিসেবে মঞ্জুর করে বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। সেসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশও প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এর পরও তিনি কাজে যোগ না দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে দুটি আবেদনপত্র ইমেইলে বেবিচকে পাঠান। পরে সেই আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে আবারও বিভাগীয় মামলা করা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

পৃথক অফিস আদেশে আরও বলা হয়, বেবিচকের সিনিয়র যোগাযোগ প্রকৌশলী মো. ইখতিয়ার ইসলাম ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের শর্তসাপেক্ষে লিয়েনে কানাডা যান। লিয়েনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি দেশে ফেরেননি। নিজ পদে কাজে যোগদান না করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, টরন্টো, কানাডার মাধ্যমে দুই বছর লিয়েন বাড়ানোর আবেদন করেন। যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবিবেচিত হয়। তিনি অনুমতিসহ দেশ ত্যাগ করে বিনা অনুমতিতে ও অনুমোদিত সময়ের পর দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করায় এবং এতে কর্তৃপক্ষের কাজে বিঘ্ন ঘটায়, লিয়েন পুনর্বিবেচনা বিষয়ে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইখতিয়ার ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।