ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভর মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
ভর মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

চাঁদপুর: চর জেগে উঠা, নদীর তলদেশে খাদ্য কমে যাওয়া এবং পানি দূষণের কারণে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণ কমেছে। ইলিশের ভর মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা চষে বেড়িয়েও জেলেরা কাঙ্খিত ইলিশ পচ্ছে না।

আর যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছে তাও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত বছর এই সময়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা। কেজি প্রতি দাম বেড়েছে কমপক্ষে ৫০০টাকা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর মাছঘাটে গিয়ে পাইকারী ও খুচরা ইলিশ বিক্রেতাদের কাছে স্থানীয় ইলিশের বাজার দর জানতে গিয়ে এসব তথ্য জানাগেছে।

চলতি মাসের শুরুতে দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর মাছঘাটে সাগর থেকে ধরে আনা ইলিশের আমদানি বাড়ে। এখনো দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলা, নোয়খালীর হাতিয়া ও লক্ষ্মীপুরের ইলিশ দিয়ে এই মাছঘাটের ৫০টিরও বেশি আড়ৎ বাজার ধরে রেখেছে। প্রতিদিনই ট্রলার ও ট্রাকে কমপক্ষে ১০০-১৫০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে।

ঘাটের মেসার্স ভাই ভাই মাছের আড়তের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বেপারী জানান, আজকে স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০টাকা করে। আর সাগরের ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা। আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি।

মাছঘাটের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া জানান, আমরা শুধুমাত্র স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ বিক্রি করি। কোন ধরণের ভেজাল নেই। ১ কেজি ও তার বেশি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৮০০টাকা করে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতিকেজি ১ হাজার ৩শ’ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪০০টাকা দরে। এছাড়া ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০টাকা।

হাজীগঞ্জ থেকে ইলিশ কিনতে মাছঘাটে এসেছেন দুই ভাই রুবেল ও ইয়াছিন। রুবেল জানান, গত বছর এই সময়ে ইলিশের দাম আরো কমছিল। আজকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ কিনেছি ১৮০০টাকা দরে। দশ হাজার টাকার ইলিশ কিনেছি। কারণ আমার বড় ভাই ইয়াছিন ইতালি প্রবাসী। তিনি চলে যাবেন, যে কারণে দামের কথা চিন্তা করিনি।

চাঁদপুর মৎস্য সবমায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার জানান, এখন ইলিশের ভর মৌসুম। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চল থেকেই প্রতিদিন ১০০-১৫০ মণ ইলিশ আসছে। স্থানীয় ইলিশের চাহিদা বেশি থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে কম। যার জন্য দামও একটু বেশি।

চাঁদপুর সদরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় ইলিশের বিচরণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ইতোমধ্যে মৎস্য বিজ্ঞানিরা নদীতে চর জেগে উঠা, নদীর তলদেশে মাছের খাদ্যের অভাব ও পানি দুষণের মতো বিষয় গুলোকে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এখন নদীতে পানি বেড়েছে এবং বৃষ্টিও হচ্ছে। মৌসুমের বাকী সময়ে জেলেরা ইলিশ পাবে বলে আশাবাদি। আর ইলিশের দাম সব সময় বাড়ে-কমে।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬৪৪ ঘন্টা, ১৩   আগস্ট ২০২৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।