ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যত ভয়-হুমকি আসুক শেখ হাসিনা মাথা নত করবেন না: ওবায়দুল কাদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
যত ভয়-হুমকি আসুক শেখ হাসিনা মাথা নত করবেন না: ওবায়দুল কাদের

নোয়াখালী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। ভিসা নীতি করে তাকে ভয় দেখিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাকে ভয় দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা বললেন- আমি শেখ মুজিবের কন্যা আমাকে ভয়ে দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। যত ভয়, হুমকি আসুক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাথা নত করবেন না, মাথা নত করতে পারেন না।      

শনিবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। সেই টাকার ৪০ কোটি শেখ হাসিনা উদ্ধার করেছে। এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারেক রহমানের অর্থ পাচারের কথা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। চুরির টাকা, পাচারের টাকা, দুর্নীতির টাকা, হাওয়া ভবনের টাকা। এই অপকর্ম, অপশক্তিকে রুখতে হবে।  

শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, সৎ, সাহসী, মানবিক একজন নেতা শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়ন, দক্ষতা, সাহস ও কৌশলের জন্য সারা দুনিয়ায় আজকে প্রশংসিত। শুধু বাংলাদেশিরা নয়, একবাক্যে বিদেশিরাও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে। শেখ হাসিনা প্রতিদিন রাতে তিন থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান। বাকি ২১ ঘণ্টা দেশ নিয়ে ভাবেন, মানুষ নিয়ে ভাবেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সে কারণে শেখ হাসিনাও কষ্ট পাচ্ছে।  

মন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান দম্ভ করে বলেছিলেন মানি ইজ নো প্রবলেম। টাকা কোনো সমস্যা নয়। আর আজ লন্ডনে বসে জিয়াউর রহমানের পলাতক পুত্র তারেক রহমান, সে গতকাল স্কাইপিতে বলেছে টাকার কোনো অভাব হবে না। বাবা যা বলেছে ছেলেও তাই বলছে। এত টাকা এলো কোথা থেকে। তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। আর রাজনীতি করবে না বলে অঙ্গীকার করে। সেই তারেক রহমান এখন বলে টাকার কোনো অভাব হবে না। আন্দোলন করে শেখ হাসিনার পতন ঘটাও। আজকে তারেক রহমান টাকার দম্ভ দেখাচ্ছে। টাকা হলে নাকি আন্দোলন করতে পারবে।   

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি নেতাদের চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। আন্দোলন হয় না, এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর। এই বছর বলে রোজার ঈদের পরে আন্দোলন হবে, এরপর বলে কোরবানি ঈদের পর আন্দোলন হবে। এরপর বলে পরীক্ষার পর আন্দোলন হবে। এভাবে দেখতে দেখতে ১৪ বছর, আন্দোলন বিএনপির নাগালে এলো না।  

মির্জা ফখরুলকে ইঙ্গিত করে বলেন, মির্জা ফখরুল মিথ্যাই বলে যাচ্ছে। এ মিথ্যাই তাদের পতন ঘটাবে।     

মন্ত্রী আরও বলেন, নোয়াখালীর মানুষকে বিএনপির নেতারা অনেক ভুল বুঝাতে চেয়েছে। এই নোয়াখালী সহস্র মানুষকে ধোঁকা দিয়ে। আজকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। আজকে নোয়াখালীর মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে আছে। কর্মীরা চায় স্মার্ট বাংলাদেশ।         

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ কিরণ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা খানম, সাবেক সংসদ সদস্য ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু প্রমুখ।    

এসময় বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. এবিএম জাফর উল্যাহ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান, চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।