ঢাকা: বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও ফ্লইটটি সোয়া পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে রওয়ানা দেয়।
প্রথম ফ্লাইটে হজযাত্রীদের বিদায় জানাতে রাতে বিমানবন্দরে যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদের ও এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল। এ সময় তারা বিমানবন্দরে অবস্থানরত হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে বিমানবন্দরের রানওয়েতে থাকা বিজি-১৩০১ ও বিজি-১২০১ ফ্লাইটের হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দেশ ও জাতির মঙ্গলে দোয়া করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
কুশল বিনিময় শেষে বিমানবন্দরে হজযাত্রা উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের তুলনায় এবার ভুলত্রুটি নেই বললেই চলে। তারপরও আমি হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
প্রথম ফ্লাইটটি ৪৭৭ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা হলেও দ্বিতীয় ফ্লাইটে ভিসার জটিলতার কারণে ১৪ জন হজযাত্রী হজে যেতে পারেননি। এতে হজযাত্রী ছিলেন ৪৬৩ জন।
ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে বিমানের পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ বাংলানউজকে জানান, ‘রাত সাড়ে ১০টায় প্রথম ফ্লাইট যাত্রার কথা থাকলেও সৌদি সিভিল এভিয়েশনের অনুরোধে তা রাত সাড়ে ৩টায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুর ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টায় আরো একটি উড়োজাহাজ হজযাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান দু’টি ভাড়া করা উড়োজাহাজের মাধ্যমে ৪৫ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করার কথা রয়েছে। এছাড়া সৌদি আরব এয়ারলাইন্স ২৬ হাজার, গালফ এয়ার ৭ হাজার, এমিরেটস এয়ারলাইন্স চার হাজার, জিএমজি ও বাহরাইন এয়ার তিন হাজার করে, কুয়েত এয়ারওয়েজ দুই হাজার ৫০০, কাতার এয়ারওয়েজ এক হাজার ৩৪২ এবং জেট এয়ারওয়েজ ৪০০ হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আশকোনায় ‘হজক্যাম্প-২০১০’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, ০৯ অক্টোবর, ২০১০