ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রকাশিত ২০১১ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে ভর্তি কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে বিরাজমান জটিলতা অবসানে বাকৃবি কর্তৃপরে কোনও তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, বাকৃবির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি ফরম পূরণ নিয়ে উচ্চতর গণিত ও সাধারণ গণিতের গ্যাঁড়াকলে বিভ্রান্তিতে আছেন তারা।
জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, জীববিদ্যা ও ইংরেজি বিষয়সমূহের প্রত্যেকটিতে জিপিএ ২.৫০ চাওয়া হয়।
কিন্তু গত ৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বিষয়ে একটি সংশোধনী প্রকাশ করা হয়। সংশোধনীতে উল্লেখিত জিপিএ ২.৫০ এর পরিবর্তে ২.০০ চাওয়া হয়।
বাস্তবতা হল এস.এস.সিতে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক হিসেবে যথাক্রমে সাধারণ গণিত এবং উচ্চতর গণিত নামে দু’টো বিষয় পড়ানো হয়। কিন্তু বাকৃবির ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় গণিত বিষয় চাওয়া হয়েছে। তবে সেই ‘গণিত’ ‘উচ্চতর’ না ‘সাধারণ’ গণিত তা বিজ্ঞপ্তি দেখে বোঝার উপায় নেই।
এ অস্পষ্টতা নিরসনে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এটি গণিত উচ্চতর ।
কিন্তু এর ফলে যে সব শিক্ষার্থী এস.এস.সিতে উচ্চতর গণিত পড়েননি, তাদের আবেদন করার ব্যাপারে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বাকৃবিতে আবেদন করতে পারবেন কী না এ বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেনি বাকৃবি। অথচ এটা করা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাকৃবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সারওয়ার জাহান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ’
উল্লেখ্য, আগামী ৪ ডিসেম্বর ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১০৬৩